স্পোর্টস রিপোর্ট: আগের রুপে ফিরতে শুরু করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব বার্সেলোনা। রবিবার রাতে লা-লিগার খেলায় অ্যাথলেটিকো বিলবাওকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে জাভি হার্নান্দেসের শিষ্যরা। জিতেছে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। দলের হয়ে একটি করে গোল করেছেন চারজন ফুটবলার। ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই বিলবাওকে চাপে রাখে বার্সেলোনা। পুরো ম্যাচে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বল রেখেছে ৭৩ ভাগ সময়। আর প্রতিপক্ষে ডি-বক্সে চালিয়েছে একের পর এক অতর্কিত আক্রমণ। চার গোলের এই ম্যাচে প্রথম গোল পেতে ৩৭ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে স্বাগতিকদের। এ সময় দলের হয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রথম গোলটি করেন। আর্সেনাল থেকে বার্সার আসা স্প্যানিশ জায়ান্ট পিয়েরে এমেরিক আবেমেয়াং। কর্নারে জেরার্দ পিকের হেড ক্রসবারে বাধা পাওয়ার পর ফিরতি বল দারুণ ভলিতে জালে পাঠান তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কিছুটা ধীর গতির ফুটবল খেলে শিরোপা প্রত্যাশীরা। তবে সময় যতই গড়িয়েছে ততই বেড়েছে তাদের খেলার ধার। সেই সুবাদে ৬৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। ফেররানের বদলি নামার ছয় মিনিট পরই চমৎকার এক গোল করেন উসমান ডেম্বেলে। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। দেম্বেলে-জাদু সেখানেই শেষ হয়নি। ৮৯ মিনিটে সতীর্থ লুক ডি ইয়ংকে দিয়ে করালেন আরেকটা গোল। মাঝমাঠ থেকে পেদ্রি গঞ্জালেসের অসাধারণ এক লং বল নিয়ে চলে যান ডান প্রান্ত ধরে। বক্সে থাকা লুক ডি ইয়ংকে লক্ষ্য করে বাড়ান ক্রস, তাতে মাথা ছুঁইয়ে গোল পান গ্রীষ্মকালীন দলবদলের শেষ দিনে দলে আসা এই স্ট্রাইকার। আর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে কাছ থেকে শেষ গোলটি করেন আরেক বদলি ফরোয়ার্ড মেমফিস। ম্যাচটি শেষ হয় ৪-০ গোল ব্যবধানেই। এ জয়ের পরও চতুর্থ স্থানেই অবস্থান করছে স্প্যানিশ জায়ান্ট এই ক্লাবটি। ২৫ ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ৪৫ পয়েন্ট। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা বিলবাও অবস্থান করছে আট নম্বরে। আর ২৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই অবস্থান করছে রিয়াল মাদ্রিদ।