বাংলাদেশ থেকে চাঁদপুর প্রতিনিধি: ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণে বিরত থাকা জেলেদেরকে ৪ মাস ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এসব চাল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জেলে কার্ড যাচাই-বাছাই করে বিতরণ করেন জনপ্রতিনিধিরা। চলতি জাটকা মৌসুমে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ৮০ কেজি চালের মধ্যে ৫ থেকে ৮ কেজি করে চাল কম দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলেরা। জেলার মতলব উত্তর, দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলায় বর্তমানে নিবন্ধিত জেলে ৪৪ হাজার। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের মেঘনার পূর্বপাড়ে ৩ ওয়ার্ডে খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে চাল কম দেয়ায় হট্টগোল শুরু হয় জেলে ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে। জেলেদের তোপের মুখে পড়েন ইউপি সদস্য সেলিম বেপারী। তাকে বেশ কিছু সময় অবরুদ্ধ করে রাখেন জেলেরা। পরে অন্যান্য ইউপি সদস্যরা এসে তাকে মুক্ত করেন। মেঘনার পশ্চিমপাড়ে চরাঞ্চলে ৬ ওয়ার্ডে নৌকার মধ্যে রেখে চাল বিতরণ করেন চেয়ারম্যান কাশেম খানসহ ইউপি সদস্যরা। রহমান ও জামাল হোসেন নামে দুই জেলে বলেন, আমরা সরকারের দেয়া অভিযান মেনে মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছি। সংসার চলে না। সন্তানদের নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে আছি। এরপর দুই মাসের ৮০ কেজির চালের মধ্যে দেয়া হচ্ছে ৭০-৭২ কেজি। এই অনিয়মের বিচার করবে কে? ইউপি সদস্য সেলিম বেপারী বলেন, খাদ্য সহায়তা নেয়ার জন্য জেলেদেরকে কার্ড করে দেয়া হয়েছে। কার্ড খরচ হিসেবে প্রত্যেক জেলের কাছ থেকে ২০ টাকা করে নিয়েছি। ওই টাকাও সব জেলে দেয়নি। চাল কম দেয়া হয় না। চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ বলেন, জেলেদের চাল কম দেয়া এবং টাকা নেয়ার বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।