ডেস্ক রিপোর্ট: ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের রাজধানী এরবিলে অবস্থিত ইহুদিবাদী ইসরাইলের দুটি স্ট্র্যাটেজিক সেন্টারে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী-আইআরজিসি। হামলায় ঘাঁটিগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও ইসরাইলের কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে এরবিলের মোসাদ ঘাঁটিতে অন্তত এক ডজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। কুর্দিস্তান অঞ্চলের গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এরবিল হামলায় প্রায় ১২টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। পরে আইআরজিসি দায় স্বীকারের বিবৃতি দিয়ে তেল আবিবের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। রবিবার সন্ধ্যায় আইআরআইবিসহ ইরানি গণমাধ্যমে আইআরজিসির বিবৃতি প্রকাশ পেয়েছে। বিবৃতিতে আইআরজিসি ইঙ্গিত দিয়েছে যে, গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আইআরজিসি দুজন কর্নেল শহীদ হওয়ার জবাব হিসেবে এরবিলের ইহুদিবাদী কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভুয়া ইহুদিবাদী সরকারের সাম্প্রতিক অপরাধমূলক তৎপরতার কারণে এবং তাদের এই অপরাধ বিনা জবাবে পার পাবে না বলে যে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তার অংশ হিসেবে ইহুদিবাদীদের ষড়যন্ত্রের কৌশলগত কেন্দ্রে শক্তিশালী ও নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।’ এদিকে মোসাদ সেন্টারে হামলার পাশাপাশি ইরবিলে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেটের নতুন ভবনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কুর্দিস্তান অঞ্চলের কাউন্টার টেরোরিজম এর মহাপরিচালকের বরাত দিয়ে ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইরাকের বাইরে থেকে এরবিলে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। খবরে বলা হয়- আমেরিকার নতুন কনসুলেট ভবন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ইরাকের সবেরিন নিউজ জানিয়েছে, মোসাদের দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হামলার শিকার হয়েছে। লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, এরবিলে মোসাদের ঘাঁটি সম্পূর্ণভাবে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে এবং বেশ কয়েকজন ইসরাইলি ভাড়াটে হতাহত হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এ হামলাকে ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরবিলে কোনো মার্কিন আহত হননি। তাদের কোনো স্থাপনাও ক্ষতির মুখে পড়েনি। ইরাক ও প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় অবস্থান করা মার্কিন সেনাদের ওপর প্রায়ই হামলা চালিয়ে আসছে ইরানপন্থী শিয়া যোদ্ধারা। বিমান হামলা করে এর পাল্টা জবাবও দেয় ওয়াশিংটন। এ ধারাবাহিকতায় ইরবিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন সেনাদের ওপর আগেও রকেট ও ড্রোন হামলা (চালকবিহীন বোমারুবিমান) চালানো হয়েছে। তবে গত কয়েক মাসে এমন ঘটনা ঘটেনি।
এরবিলের ‘মোসাদ ঘাঁটিতে’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান
0
Share.