বিনোদন ডেস্ক: বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে রাজনীতির মাঠে দেখা মিলবে বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহার। তাও আবার কলকাতায় এসে তিনি চালাবেন ভোটের প্রচার। আসানসোল লোকসভা আসনে অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমুল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ঘোষণার পর থেকেই সোনাক্ষীকে দেখার আশায় বুক বেঁধেছেন আসানসোলের বাসিন্দারা। জোর কদমে প্রচারের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। দেয়াল লেখার কাজ শুরু। এবার শুধু রাস্তায় নেমে প্রচার করা বাকি। শত্রুঘ্ন সিনহা জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের প্রচারে আসানসোলে আসবেন মেয়ে সোনাক্ষী। তাতেই যেন উত্তেজনার পারদ আরও বেড়েছে। ইতোমধ্যে সোনাক্ষী-শত্রুঘ্নর ছবি পাশাপাশি রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছে সেখানকার যুব সংগঠন। বাবার মতো ‘দাবাং’ অভিনেত্রীও সবাইকে খামোশ বলেন কিনা এখন সেটাই দেখার। শত্রুঘ্ন সিনহা প্রথমে বিজেপিতে ছিলেন। তারপর কংগ্রেস ঘুরে তৃণমূলে যোগ দেন। বিহারের রাজনীতির ময়দানে তিনি আছেন বহুদিন ধরে। কিন্তু পশ্চিবঙ্গের সিটে যে তার দেখা মিলতে পারে, তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। ইতোমধ্যে শত্রুঘ্নকে ‘বহিরাগত’, ‘বিহারী বাবু’র তকমা সেঁটে দিচ্ছে বিরোধি দলগুলো। যদিও অভিনেতার দাবি, তিনি দেশের সেবা করছেন। তিনি এই দেশেই জন্মেছেন। তাই বহিরাগত কথাটার কোনো মানেই হয় না! শত্রুঘ্ন জানিয়েছেন, ‘আমাদের মতো মানুষ অল ইন্ডিয়া ফিগার। আমারা যে খ্যাতি পেয়েছি তাতে গোটা দেশের ভূমিকা আছে। সেই খ্যাতিতে অন্ধ্র, তামিলনাড়ু, বিহার, বাংলা সব রাজ্যের সমান অবদান রয়েছে। এটা একটাই দেশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী আমাদের, আমাদের সবার। তাই বিহারে রাজনীতি করার পর যখন আমি বাংলায় রাজনীতি করছি, তখন সেটাও আমি দেশের জন্যই করছি।’