বাংলাদেশ থেকে পটুয়াখালী প্রতিনিধি: বাউফল সদর ইউনিয়নে জামায়াত-বিএনপির সমর্থীত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দশমিনা ডাঃ ডলি আকবর মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক এটিএম কাওছার হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ বুধবার বেল ১১টার দিকে অলিপুরা বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান লিটন বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাওছার আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দিনের পক্ষ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন জামায়াত-বিএনপি সমর্থীত নবনির্বাচিত মোঃ জাহিদুল ইসলাম। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। গত ১৯ মার্চ শনিবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে কাওছার কর্মস্থল দশমিনা যাওয়ার পথে অলিপুরা বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান জাহিদের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এ সময়ে নির্বাচনী শত্রুতার জের ধরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ১০-১২ জনের সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই কাওসার বাউফল থানায় একটি এজাহার দাখিল করলেও রহস্য জনক কারণে তা মামলা হিসাবে রজু হয়নি। সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রব চৌকিদার। এর আগে সকাল ১০টায় অলিপুরা-বাউফল সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও নমর্থকরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সূর্য্যমনি ইউনিয়ন পেিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন বাচ্ছু, পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য ও বাউফল উপজেলা সেচাছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ, পৌর যুবলীগের সভাপতি মোঃ মামুন খান, যুবলীগনেতা সামছুল কবির নিশাত প্রমূখ।