ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলা মোকাবেলায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে সামরিক জোট ন্যাটো। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ৩০ সদস্যের ন্যাটোর একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে নেতারা বলেছেন,‘আমরা ন্যাটোর প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছি।’ প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষার খাতিরে ন্যাটো রেসপঞ্জ ফোর্সকে (এনআরএফ) কাজে লাগানো হচ্ছে। বহু দেশের সেনাদের সমন্বয়ে গঠিত এই বাহিনী সেনা, বিমান ও নৌ সেনাদের সমন্বয়ে গঠিত। এই বাহিনীকে দ্রুত কোনও স্থানে মোতায়েন করা যায়। এ প্রসঙ্গে ন্যাটোর সুপ্রিম এলায়েড কমান্ডার জেনারেল টক ওয়াল্টার বলেছেন,‘‘এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এবারই প্রথম উচ্চ-প্রস্তুতিসম্পন্ন এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত এই বাহিনীকে প্রতিরক্ষার জন্য নিয়োজিত করা হচ্ছে।’’ আরও চারটি নতুন বাহিনী গঠনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়। এই চারটি বাহিনী স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও হাঙ্গরিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতের ঘোষণা দিয়েছেন জো বাইডেন। তিনি বলেন,‘আমরা যে একজোট হয়ে ন্যাটো অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করব, নতুন বাহিনী গঠন তার একটি শক্তিশালী সংকেত।’ ‘‘ন্যাটোর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এখন থেকে আগামী জুনে ন্যাটো সম্মেলনের আগপর্যন্ত অতিরিক্ত নানা বাহিনী ও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে পরিকল্পনা করা হবে।’ ওই সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগ দেন। তিনি বলেন, ন্যাটো জোটের শক্তির একাংশ প্রয়োজন তার দেশের। রাশিয়ার আগ্রাসন রুখতে তিনি সবাইকে সোচ্চার হওয়ার দাবি জানান। জেলেনস্কি বারবার নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার দাবি করলেও তার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ন্যাটো। গত বৃহস্পতিবারও এ বিষয়ে কোনো ইতিবাচক কথা বলেননি ন্যাটো নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া, নেতৃবৃন্দ ইউক্রেনে সরাসরি সেনা পাঠানোর বিষয়েও নিশ্চুপ ছিলেন। সম্মেলনে ন্যাটোর প্রধান হিসেবে জেনস স্টলটেনবার্গের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ন্যাটোপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।