ডেস্ক রিপোর্ট: রুশ সেনারা ‘শুধু আনন্দ করার জন্য’ ইউক্রেনীয়দের হত্যা ও নির্যাতন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। দোভাষীর মাধ্যমে ভাষণ দেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘বুচা শহরে তারা করেনি এমন কোনো অপরাধ নেই।’ খবর বিবিসির। সম্প্রতি রুশ সেনারা চলে যাওয়ার পর বুচা শহরের রাস্তা থেকে ২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনে ইউক্রেন। যদিও মস্কো তা প্রত্যাখ্যান করেছে। জেলেনস্কির দাবি, রাস্তায়, বাড়িতে মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কুয়ার মধ্যে ছুড়ে ফেলা হয়েছে এবং রাস্তার মাঝখানে ট্যাংক দিয়ে চাপা দেওয়া হয়েছে শুধু ‘আনন্দের জন্য’। রুশ সেনাদের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও আইএসের মতো বলে মন্তব্য করেন জেলেনস্কি। জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি প্রশ্ন করেন, নিরাপত্তা পরিষদের যে নিরাপত্তা দেওয়া দরকার তা কোথায়? কোথায় শান্তি? ইউক্রেনে হামলার শুরুর পর থেকে এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। ভাষণে রাশিয়ার সেনারা বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা ও নারীদের ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেন জেলেনস্কি। তার দাবি, রাশিয়াকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ‘যেভাবে নুরেমবার্গ বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেরকম একটি ট্রাইব্যুনাল করতে হবে’ বলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টে। ভাষণের সময় মৃত ইউক্রেনীয়দের আগুনে পোড়া ও বিকৃত মরদেহের একটি ভিডিও ফুটেজ দেখান জেলেনস্কি। যদিও বিবিসি ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।