ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার প্রকোপ কমলেও উৎপত্তিস্থল চীন তার ব্যতিক্রম। চীনে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার। সম্প্রতি একদিনে ২০ হাজার ৪৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে সেখানে। যা ২০১৯ য়ে মহামারি আঘাত হানার পর দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার। চীনে পাওয়া গেছে ওমিক্রনের নতুন এক সাবটাইপের সন্ধান। এই সাবভ্যারিয়েন্টকে নাম দেওয়া হয়েছে BA.1.1.। এটির সঙ্গে পূর্ববর্তী করোনাভাইরাসের কোনো মিল নেই। সাংহাইয়ের অদূরে সুযৌউ শহরে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলেছে। এদিকে যুক্তরাজ্যেও করোনা ভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতি চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর নাম এক্সই। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে চীনের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ‘জিরো-কোভিড’ কৌশল বড় আকারের চাপের মুখে পড়েছে। তবে এখন যাদের করোনাভাইরাস ধরা পড়ছে, তাদের বেশির ভাগের দেহেই কোনো উপসর্গ নেই। অর্থাৎ তারা অ্যাসিম্পটোম্যাটিক। তারপরও সাংহাইয়ের কোয়ারেন্টিন অবকাঠামোগুলোতে করোনা ভাইরাস পজিটিভ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে করোনা ভাইরাস নীতিমালা মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছে। এ নীতিমালার মধ্যে আছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের তাদের করোনা নেগেটিভ বাবা মায়ের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়া, যা পরিবারের সদস্যদের জন্য উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে লকডাউন চললেও বন্ধ নেই কল কারখানা। কারখানাতেই ঘুমাচ্ছেন শ্রমিকরা। চলছে অফিসও , অফিসেই থাকছেন কর্মচারীরা। কেউ ঘুমাচ্ছেন চেয়ারে আবার কোথাও ব্যবস্থা করা হয়েছে এয়ারবেডেরও । আর খাওয়ার জন্য রয়েছে ইনসট্যান্ট নুডুলস। গত সপ্তাহে আড়াই কোটি মানুষের শহর ও চীনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাইতে কয়েক দফায় লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। ফলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে অনেক মানুষ নিজেদের ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ করেছেন এবং অনেকে বারবার পরীক্ষা করিয়েছেন নিশ্চিত থাকার জন্য। জানা গেছে বুধবার থেকে শহরের সব বাসিন্দাদের থেকে সংগ্রহ করা হবে নমুনা করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জ।ন্য। ইতোমধ্যে লকডাউন টাটকা খাবারের অভাব ও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ নিয়ে সাংহাইয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।