বাংলাদেশ থেকে মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশ পথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রীবাহীবাস ও প্রাইভেটকারের চাপ না থাকলেও সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ রয়েছে। পাটুরিয়া প্রান্তেই শুধু সাড়ে পাঁচ শতাধিক ট্রাক পাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকের এ সারি আরও দীর্ঘ হবে। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানান, ঈদ যাত্রাকে সুশৃঙ্খল করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে মোট ২১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। বর্তমানে ঘাটে ১৯টি ফেরি রয়েছে। গোলাম মওলা ও শাপলা শালুক আজকের মধ্যেই ঘাট এলাকায় পৌঁছাবে। সবগুলো ঘাট সচল ও ২৪ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস চালু থাকলে পারাপারে এবার ভোগান্তি পোহাতে হবে না যাত্রী ও যানবাহন চালকদের। পাটুরিয়া ঘাট ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাটুরিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ঢাকামুখী তিন কিলোমিটার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। ঘাট এলাকায় শতাধিক বাস ও প্রাইভেটকার এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক ট্রাক নদী পাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে পাটুরিয়া ঘাটের দুই ট্রাক টার্মিনালে তিনশো ও জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ঢাকামুখী সড়কে দেড় শতাধিক ও উথলী সংযোগ মোড়ে শতাধিক ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) আব্দুস সালাম জানান, বর্তমানে ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের চাপ নেই। ঘাটে আসা মাত্রই পাড় হতে পারছে। ফেরি বহরের ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রয়েছে। বাকি দুটি ফেরি আজকের মধ্যেই আমাদের ঘাটে এসে পড়বে। এদিকে ঘাট এলাকায় যানবাহনের বাড়তি চাপ এড়াতে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ৭ কিলোমিটার আগে উথলী সংযোগ মোড় শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। অপরদিকে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ৩৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হবে।