স্পোর্টস রিপোর্ট: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালপর্বের প্রথম লেগে এক গোলে পিছিয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ ঘরের মাঠেও খেয়ে বসল এক গোল। ম্যাচ ১-০ গোল শেষ হতে চলছিলো। কিন্তু রদ্রিগোর একদম অন্তিম মুহূর্তে টানা দুই মিনিটের দুই গোলে ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় আরও এক গোল পেয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলে ফাইনালও নিশ্চিত কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের। সিটির মাটিতে প্রথম লেগে শুরুতে দাঁড়াতেই পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। এরপরও ওই ম্যাচে ৪-৩ গোলের হার নিয়ে ঘরে ফিরে চাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ সংখ্যক শিরোপা জয়ী ক্লাবটি। ফলে ফাইনালে উঠতে হলে দুই গোলের দরকার ছিল স্বাগতিকদের। এমন সমীকরণ সামনে নিয়ে খেলতে নেমে ম্যাচের শুরুর দিকে এলোমেলো ফুটবল খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম দিকে করতে পারেননি কোনো আক্রমণ। অন্যদিকে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকেন চেলসি। এরপরও প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোলশূন্যতে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও অনেকটা অগোছালো খেলায় খেলে স্বাগতিকরা। সেই সুযোগটাই লুফে নেয় সফররত ম্যানচেস্টার সিটি। ৭৩তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় সিটি। মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে বল ধরে এগিয়ে বক্সে ঢুকে ডান দিকে বাড়ান সিলভা। বাঁ পায়ের কোণাকুণি শটে বল জালে পাঠান রিয়াদ মাহারেজ। এরপর ৮৯তম মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখে সিটি। সবাই ভেবেই নিয়েছিলো যে, ফাইনালে নিশ্চিত সিটির। কিন্তু ম্যাচের নাটাকীয়তা তখনও বাকি। ৯০তম মিনিটে সমতা টানেন রদ্রিগো। বদলি হিসেবে খেলতে নামা এই ব্রাজিলিয়ান তারকা আরও একটি গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-১। নির্ধারিত সময় শেষ হয় ম্যাচ। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান ৫-৫ দাঁড়ালে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত মিনিটে। আর অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে ডি-বক্সে ফরাসি ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমাকে সিটির দিয়াস ফাউল করায় পেনাল্টি পায় রিয়াল। সফল স্পট কিকে রিয়ালকে এগিয়ে নেন বেনজেমা। ম্যাচটি শেষ হয় ৩-১ ব্যবধানে।
সিটির বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয়ে ফাইনালে রিয়াল
0
Share.