ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনের মারিউপোলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল থেকে আরও অন্তত ৫০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একই সাথে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের সাথে আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা কমপ্লেক্সে আটকে পড়া নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশটির হেড অফ প্রেসিডেন্সিয়াল স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমেক উদ্ধার অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য দেননি। তবে বলেছেন, এ বিষয়ে আপডেট পরে জানানো হবে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন যে আজভস্টাল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার তৎপরতা চলছে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ানদের গোলাবর্ষণের মধ্যেই ওই তৎপরতা চালানো হচ্ছে। রাশিয়া মারিউপোলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় : যুক্তরাজ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত আপডেটে বলা হয়েছে যে রাশিয়া মারিউপোল শহর পুরোপুরি দখল করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত ৯ই মে রাশিয়ার বিজয় দিবসকে সামনে রেখে এই তৎপরতা চালানো হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় উদযাপনে এ দিনটিতে বিজয় দিবস পালন করে রাশিয়া। যুক্তরাজ্য বলছে, ইস্পাত কারখানা ঘিরে দ্বিতীয় দিনের মতো হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। কারণ মারিউপোল দখল করে ৯ই মের আগে একটি প্রতীকী বিজয় চাইছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনে সর্বশেষ পরিস্থিতি :
• জাতিসংঘ বলছে মারিউপোল থেকে আরও বেসামরিক নাগরিক সরিয়ে নেয়াই তাদের লক্ষ্য
• পাঁচশোর মতো নাগরিককে বৃহস্পতিবার শহর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে
• ইউক্রেন বলছে আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত আছে যেখানে দুশোর বেশি বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়েছে
• পেন্টাগন বলেছে তারা গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করেছে কিন্তু কোন সামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তারা অংশ নেয়নি • ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন রাশিয়ার বাহিনী চারশো হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। ফলে চিকিৎসা সুবিধার অভাবে বিপর্যয়কর অবস্থা তৈরি হয়েছে মার্কিন তথ্যে ইউক্রেনে রুশ জেনারেল হত্যা : যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস খবর দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র যেসব গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে তা বেশ ক’জন রুশ জেনারেলকে হত্যা করতে ইউক্রেনের বাহিনীকে সহায়তা করেছে। মার্কিন সরকারের অজ্ঞাতপরিচয় কিছু সূত্র উল্লেখ করে সংবাদপত্রটি বলছে, রণক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট এবং তাদের ভবিষ্যৎ চলাচলের ওপর যুক্তরাষ্ট্র তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য ইউক্রেনের হাতে তুলে দিয়েছে। অর্থাৎ, রুশ বাহিনী কোথায় অবস্থান করছে, কোন পথ দিয়ে চলাচল করছে এসব তথ্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কাছে সরবরাহ করা হয়েছে।ইউক্রেনের জানিয়েছে, তারা এই যুদ্ধে শীর্ষস্থানীয় ১২ জন রুশ জেনারেলকে হত্যা করেছে।