বাংলাদেশ থেকে কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল ও মেডিক্যাল কলেজসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সদ্য ভর্তি হওয়া কুষ্টিয়ার কুমারখালী-খোকসা উপজেলার দেড় শতাধিক মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে ড. আবু নাসের রাজীব ফাউন্ডেশন। কুমারখালী পৌর শহরের সাংবাদিক কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে তাদের এই সংবর্ধনা দেয় ফাউন্ডেশন। সংস্কৃতি কর্মী জিয়াউর রহমান মানিক ও সাংবাদিক কাজী সাইফুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. আবু নাসের রাজীব। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কবি, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক লিটন আব্বাস। সংবর্ধিত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিভাগের শিক্ষার্থী নূর ই সিয়াম উচ্চারণ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা প্রীতি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. আবু নাসের রাজীব সংবর্ধিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘স্বপ্ন হতে হবে আকাশ ছোঁয়া। স্বপ্ন মানেই বাস্তব, স্বপ্ন মানেই গন্তব্য। আমি কোথায় যেতে চাই তার নাম স্বপ্ন। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় হতে পারে। বাস্তব স্বপ্ন ও চেষ্টা কখনোই ব্যর্থ হয় না। যদি স্বপ্নকে বিশ্বাসে রূপান্তরিত করতে পারা যায় তাহলে তা অর্জনও করা যায়। আর যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য স্বপ্নপূরণের একমাত্র হাতিয়ার হলো শিক্ষা। শিক্ষাজীবন যার যত বেশি সমৃদ্ধ তার জীবনযুদ্ধ বা স্বপ্নপূরণ ততই সহজ।’ ড. আবু নাসের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নওসের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কাজী আক্তার হোসেন, কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিশির কুমার রায়, সাবেক উপসচিব ড. শাহ আলম চুন্নু, আরপিটিএসএ, রাজশাহীর পরিচালক আব্দুল্লাহেল বাকী, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্তজা আলী বাবু, ঢাকার খোকসা উপজেলা সমিতির সভাপতি আহসান নবাব, কবি সৈয়দ আব্দুস সাদিক, বুলবুল টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রফিক, কুমারখালী জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া খান জেমস, কুমারখালী পৌরসভার কাউন্সিলর এস এম রফিক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আরিফুব রহমান প্রমুখ।