বাংলাদেশ থেকে জয়পুরহাট প্রতিনিধি: শুক্রবার গভীর রাতে পাঁচবিবিবির মাজিনা গ্রামে ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় আয়েশা ছিদ্দিকা(২২) নামের এক কলেজ ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর বড় ভাই মোস্তাক হোসেন বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা করলে উপজেলার মাঝিনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রবিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এই তথ্যগুলো জানান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শংকর মহন্তের পুত্র রনি মোহন্ত (৩০)ও একই উপজেলার আয়মাপাড়া গ্রামের খোরশেদ মন্ডলের পুত্র জাহিদ কামিনী(৩২)। পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের মোজ্জামেল হকেরছোট মেয়ে আয়েশা। তিনি জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। আয়েশার মা চারবছর আগে মারা যান এবং বাবা ঋণ খেলাপির দায়ে জেল হাজতে আছেন। বাবা মা না থাকায় নিহত আয়েশা তার ভাই মোস্তাকের সংসারে থাকতো। তার ভাই স্ত্রী সন্তানসহ ঈদের সময় শ্বশুর বাড়িতে যান। বাড়িতে কেউ না থাকায় আয়েশা পাশের বাড়ির দুই কিশোরী ভাতিজিকে অন্য রুমে রেখে সে পাশের রুমে ঘুমিয়ে পরে। এই সুযোগে শুক্রবার গভীর রাতে রনি ও জাহিদ বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে আয়েশার রুমের প্রবেশ করে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে এক পর্যায়ে আয়েশা বাধা দেওয়ায় ব্যর্থ হয়ে তারা তার মুখে কাপড় গুজে দেয় এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা জানা যাবে বলে জানানো হয়। এদিকে জয়পুরহাট সরকারী ডিগ্রী কলেজের ¯œাতক দ্বিতীয় বর্ষ উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ছাত্রী আয়েশাকে হত্যা ও ধর্ষনের প্রতিবাদ জানিয়ে জয়পুরহাট কলেজ চত্বরে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা মানববন্ধন করে আসামীদের বিচার দাবী করেন।