ডেস্ক রিপোর্ট: রুশ নিয়ন্ত্রিত ইজিয়াম শহরের কাছে রুশ সেনাদের সঙ্গে পাল্টা আক্রমণ চলছিল ইউক্রেনীয় সেনাদের। তবে রবিবার দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধে গত মাসের প্রধান স্থান দনবাস অঞ্চলের অন্যদিকে অগ্রসর হচ্ছে রুশ বাহিনী। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে প্রচন্ডরকমের প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে রুশ সেনারা। কয়েকটি জায়গায় সফলতা পেয়েছে ইউক্রেনের সেনারা। শুরুর দিকে কিয়েভ থেকে রুশ কমান্ডারদের পিছু হটিয়েছে এবং সম্প্রতি তারা খারকিভে সফলতা পেয়েছে। রবিবার সকালের এক আপডেটে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায়, ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও, রাশিয়ান বাহিনী বৃহত্তর দনবাস অঞ্চলের লাইমান, সিভিয়ারোডোনেটস্ক, আভদিভকা এবং কুরাখিভ এলাকায় অগ্রসর হচ্ছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আরো জানিয়েছে, আগের দিন দনবাস জুড়ে লড়াইয়ে ইউক্রেনীয়রা আটটি রাশিয়ান ট্যাঙ্ক, পাঁচটি আর্টিলারি সিস্টেম, অন্যান্য সাঁজোয়া যান এবং ড্রোন ধ্বংস করেছে। একজন আঞ্চলিক গভর্নরের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী খারকিভ হাইওয়ে থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে দোনেৎস নদীর তীরে অবস্থিত কৌশলগত শহর ইজিয়ামের কাছে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গভর্নর ওলেহ সিনেগুবভ বলেছেন, সবচেয়ে উষ্ণ স্থানটি এখন ইজিয়াম। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সেখানে পাল্টা আক্রমণে চলে গেছে। শত্রুরা কিছু ফ্রন্টে পিছু হটছে এবং এটি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর চরিত্রের ফলাফল। তবে রবিবার ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দারা দনবাসে রাশিয়ার অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছে। তাদের দাবি রাশিয়া ফেব্রুয়ারিতে মোতায়েন করা স্থল যুদ্ধ বাহিনীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ হারিয়েছে। দনবাসে পরিকল্পনা মাফিক হামলার তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রুশ সেনারা। এমনকি আগামী এক মাসেও তা উন্নতি করার কোনো সম্ভাবনা নেই। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, দনবাসসহ অন্যান্য সামরিক স্থাপনাগুলিতে তাদের বাহিনীর ধারাবাহিক হামলায় কমপক্ষে ১০০ ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদী নিহত হয়েছে। দনবাসের পরিস্থিতি খুব কঠিন ছিল বলেও মন্তব্য করেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, রুশ বাহিনী এখনও সেখানে বিজয় রক্ষা করার চেষ্টা করছে। তারা তাদের প্রচেষ্টা বন্ধ করছে না। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী বলেছে, রবিবার মারিওপোলের দক্ষিণ বন্দরে ইস্পাতের কাজগুলিতে রাশিয়ার বোমাবর্ষণে কোনো প্রভাব পড়েনি। রুশ সেনারা শহরটি অবরুদ্ধ করার পরেও শতাধিক ইউক্রেনীয় যোদ্ধা কয়েক সপ্তাহ ধরে শক্ত প্রতিরোধ করে আসছে। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রুশ যুদ্ধবন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে মারিওপোল থেকে আহত সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার উপায় খুঁজতে আলোচনা চলছে। এর আগে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার একটি আধুনিক নৌবাহিনীর লজিস্টিক জাহাজ ভসেভোলোড বব্রভে হামলার দাবি করেছিল ইউক্রেন। রাশিয়া ইউক্রেনের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।