জনসচেতনতা বাড়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে

0

ঢাকা অফিস: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ও মৃতের হার অনেক হ্রাস পেয়েছে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে অনেক আগেই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষও এই রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে ধারণা রাখেন। রোগের উপসর্গ সম্পর্কে পূর্ব ধারণা থাকা এবং সামান্য সমস্যা হলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার কারণে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জটিল আকার ধারণ করতে পারে না। আর অন্যান্য অসুস্থতা অর্থাৎ জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ, জ্বর ইত্যাদি রোগে আক্রান্তরাও সচেতনভাবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। যথাযথ চিকিৎসা পেলেও এসব রোগে আক্রান্তরাও দ্রুত বিপদমুক্ত থাকতে পারেন। এভাবে শীতজনিত রোগসমূহ ভয়ানক রূপ নিতে পারে না। চিকিৎসকেরা আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত সংখ্যা ও মৃতের হার প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহের মানুষ এসব রোগ সম্পর্কে আরও সচেতন হয়ে উঠতে পারেন। গ্রহণ করতে পারেন পূর্বপ্রস্তুতি। তবে এবার সারাদেশে শীতজনিত রোগসমূহের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বেশি মানুষ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জন্ডিস, আমাশয়, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগ, জ্বর ইত্যাদি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। তৃতীয় স্থানে রয়েছে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমনজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী। আর এসব রোগে মৃতের হারের বিবেচনায় ডায়রিয়ায় ৪ জন, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগসমূহে ১৭ জন এবং অন্যান্য অসুস্থতায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালের ১ নবেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

Share.