বাংলাদেশ থেকে জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুর জেলা শহর ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুই পাশে থাকা অতি প্রাচীন আম, জাম, মেহগনি ও কড়ইসহ বেশ কিছু গাছ ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দমকা হাওয়া ও সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গাছ ও গাছের ডালপালা রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। স্থানীয়রা জানান, দমকা হাওয়া ও সামান্য বৃষ্টিতে এসব গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ার ঘটনায় দেখা দেয় নানান সমস্যা। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয় দীর্ঘক্ষণ। চলাচলের প্রতিবন্ধকতাসহ তীব্র যানজটের মুখোমুখি হতে হয় তাদের। এছাড়াও সড়কের দুই পাশে এমন গাছের সংখ্যা বেশি থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকে যানবাহন চালকেরা। ২০২০ সালের ৫ মে জামালপুর শহরে এমন ঝূঁকিপূর্ণ গাছের চাপায় মৃত্যু হয় মান্নান নামে এক অটোরিকশা চালকের। শহরের বোসপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঝূঁকিপূর্ণ এই গাছগুলো পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যায়। এমনকি সারাদিন জামালপুর শহরে বিদ্যুৎ থাকে না। এতে আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গাছগুলো, ডালগুলো কাটারই দরকার। সবগুলো গাছই রাস্তার উপরে, অনেক ঝুকিপূর্ণ। গাড়ি চলাচল করলে দুর্ঘটনার ভয় থাকে। গাছের ডালগুলো কাটলে ভালো হবে। তবে পরিবেশ আইন মেনে এসব ঝূঁকিপূর্ণ গাছ ও গাছের শাখা প্রশাখা অপসারণ এবং এর বিপরীতে একাধিক গাছ রোপণের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, সরকারের যে পরিবেশ আইন আছে। সেই আইনকে সামনে রেখে এই প্রাচীন ও মরা বৃক্ষগুলো অপসারণের জন্য অনুরোধ করছি। এসব বিষয়ে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, গত কয়েকদিন আগে ঝড়ে বেশ কিছু ঝূঁকিপূর্ণ গাছ রাস্তায় ভেঙ্গে পড়েছে। যে কারণে মানুষের চলাচলের প্রতিবন্ধকতাসহ জানমালের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটা নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। আমরা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা করে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বনবিভাগের কাছে আমরা মতামত চেয়েছি ঝূঁকিপূর্ণ গাছগুলো কি করা যায়? তাদের মতামতের ভিত্তিতেই আমরা আগামী সভায় আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
জামালপুরে প্রাচীন গাছগুলো উপড়ে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা
0
Share.