ডেস্ক রিপোর্ট: আফগানিস্তানের কাবুলের শিখদের উপাসনালয় গুরুদুয়ারায় শনিবার বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এ হামলার দায় স্বীকার নিয়েছে আইএসআইএস। খবর এনডিটিভির। আমাক প্রোপাগান্ডা সাইটে পোস্ট করা একটি বার্তায় হামলার দায় স্বীকার করে আইএসআইএস জানিয়েছে, এটি নবী মোহাম্মদকে ‘অপমান’ করার প্রতিশোধ ছিল। শনিবারের হামলাটি হিন্দু, শিখ এবং ওই সমস্ত ধর্মত্যাগীদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে যারা নবীর অপমানের পরেও তাদের সমর্থন করেছিল। গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, তাদের একজন যোদ্ধা কাবুলের হিন্দু ও শিখ মুশরিকদের উপাসনালয়ে প্রবেশ করে প্রথমে নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করে। পরে মেশিনগান এবং হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে ভেতরে থাকা পৌত্তলিকদের ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় দুইজন নিহত ও অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল নাফি টাকোর বলেছেন, হামলাকারীরা গুরুদুয়ারায় প্রবেশ করার সময় অন্তত একটি গ্রেনেড ছোড়ে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। মানবিক সহায়তার বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদল কাবুলে যাওয়ার পর এই হামলাটি হয়। আফগান ও ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলটি তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাস পুনরায় চালু করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে। কারণ ভারতীয় দূতাবাসটি গত বছরের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে আফগানিস্তান জুড়ে বোমা হামলার সংখ্যা কমলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ হামলার দায়ই আইএসআইএস স্বীকার করেছে। আইএসআইএস তালেবানের মতো সুন্নি ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হলেও একে অপরের তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী এবং তাদের আদর্শগত ভিত্তিতে ব্যাপক ভিন্নতা রয়েছে। ১৯৭০ এর দশকে আফগানিস্তানে শিখদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লাখ। বর্তমানে এই সংখ্যা ২০০-তে নেমে এসেছে। শনিবারের হামলার পূর্বে গুরুদুয়ারায় নারী ও শিশুসহ অনেক শিখ আশ্রয় নিয়েছিল। সম্প্রদায়টি কয়েক বছর ধরে বারবার আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চেও কাবুলের একটি গুরুদুয়ারায় হামলায় ২৫ জন নিহত হয়। ওই হামলার দায়ও আইএসআইএস স্বীকার করে নিয়েছিল।