ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস। ‘নিরাপত্তা খোঁজার অধিকার’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে দিবসটি। এবার যখন দিবসটি পালিত হচ্ছে এর আগেই বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থার প্রতি বিশ্বনেতাদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হয়। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন প্রতি ৭৭ জনের একজন শরণার্থী। গত এক দশক ধরে প্রতি বছর শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২১ সালের শেষে বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল নয় কোটি ৯৩ লাখে। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর গত মে মাসে এই সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরাট একটা অংশ বাংলাদেশে আশ্রয়ে রয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে থেকেই আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে রয়েছে। বর্তমানে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নিয়ে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২০০১ সালের ২০ জুন আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস হিসেবে পালনের বিষয়টি পাস হয়। ১৯৫১ সালে অনুষ্ঠিত শরণার্থীদের অবস্থান নির্ণয় বিষয়ক একটি কনভেনশনের ৫০ বছর পূর্তি হয় ২০০১ সালে। ২০০০ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান শরণার্থী দিবস নামে একটি দিবস বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছিল। জাতিসংঘ পরবর্তীকালে ২০ জুনকে আফ্রিকান শরণার্থী দিবসের পরিবর্তে আন্তর্জাতিকভাবে শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করতে সম্মত হয়েছে।
আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস
0
Share.