ঢাকা অফিস: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য আজ থেকে সারা দেশে রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে দোকান, বিপণি বিতান। ঈদ সামনে রেখেই এমন সিদ্ধান্ত এলো। তবে সব কিছু দোকান খোলা রাখা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রবিবার বিকেলে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় আলোচনাকালে মন্নুজান সুফিয়ান জানান, সার্বিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১১৪ কঠোরভাবে প্রতিপালনের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, এফবিসিসিআইসহ সকল ব্যবসায়ী সংগঠন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকারের এ উদ্যোগ সর্বসম্মতভাবে মেনে নিয়েছেন। তবে দোকান মালিক সমিতি পবিত্র ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে ১ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত খোলার রাখার অনুমতি চেয়েছে। তাদের অনুরোধ বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। শ্রম আইনের ১১৪ এর উপধারা ৩ অনুযায়ী কোনো দোকান, কোনো দিন রাত ৮টার পর খোলা রাখা যাবে না। তবে শর্ত যদিকোনো গ্রাহক কেনাকাটার জন্য দোকানে থাকেন তাহলে ঐ সময়ের অব্যবহতি আধাঘণ্টা পর পর্যন্ত গ্রাহককে কেনা কাটার সুযোগ দেয়া যাবে। ১১৪ এর উপধারা (১) এ বলা হয়েছে, প্রত্যেক দোকান বা বাণিজ্য বা শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতি সপ্তাহে অন্তত দেড় দিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। কোনো এলাকায় এরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান কোন দেড় দিন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে তা প্রধান পরিদর্শক স্থির করে দেবেন।
যে সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে না সেগুলো হচ্ছে-
১. ডক, জেটি, স্টেশন অথবা বিমানবন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস। ২. প্রধানত তরি-তরকারি, মাংস, মাছ, দুধ জাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি এবং ফুল বিক্রির দোকান।
৩. প্রধানত ওষুধ, অপারেশন সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ অথবা চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান।
৪. দাফন ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান।
৫. প্রধানত তামাক, সিগারেট, পান-বিড়ি, বরফ, খবরের কাগজ, সাময়িকী বিক্রির দোকান, এবং দোকানে বসে খাওয়ার জন্য হালকা নাশতা বিক্রির খুচরা দোকান।
৬. খুচরা পেট্রোল বিক্রির জন্য পেট্রোল পাম্প এবং মেরামত কারখানা নয় এমন মোটর গাড়ির সার্ভিস স্টেশন
৭. সেলুন বা কেশ প্রসাধনীর দোকান।
৮. যে কোনো ময়লা নিস্কাশন অথবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
৯. যে কোনো শিল্প, ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান যা জনগণকে শক্তি, আলো-অথবা পানি সরবরাহ করে। তবে শর্ত থাকে যে একই দোকান অথবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে যদি একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হয় এবং তাদের।
১০. ক্লাব, হোটেল, রেঁস্তোরা, খাবার দোকান, সিনেমা অথবা থিয়েটার অধিকাংশ তাদের প্রকৃতির কারণে এই ধারার অধীন অব্যাহতি পাওয়ার যোগ্য তা হলে সমগ্র দোকান বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানটির ক্ষেত্রে এরূপ অব্যাহতি প্রযোজ্য হবে।