বাংলাদেশ থেকে কক্সবাজার প্রতিনিধি: পর্যটন শহর কক্সবাজারে গত কয়েক দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিতে অনেকটা তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাটসহ শহরের বিভিন্ন এলাকা। একই সঙ্গে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে বাজারঘাটা, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, আলীরজাহাল, কলাতলীসহ শহরের নিম্নাঞ্চলে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। শুধু সড়কে নয়, অলিগলি উপচে বাসা ও দোকানপাটেও পানি প্রবেশ করে। অনেক দোকানের নিচেও জমে যায় হাঁটু পানি। বিশেষ করে সকালে যাদের অফিস ছিল তাদের বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এদিকে কক্সবাজারে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। সোমবার বিকালে কক্সবাজার পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সাহিত্যিকা পল্লী, গরুর হালদা এলাকার পাহাড় কাটার কয়েকটি দৃশ্য পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস এমন বর্ষণমুখর দিনে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এলাকাবাসীকে তাগিদ দেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জাহিদ ইকবাল, কক্সবাজার পৌরসভার (ভারপ্রাপ্ত) মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর ওমর ছিদ্দিক লালু ও শাহাবুদ্দিন। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কার্যালয় সূত্র জানায়, পৌরসভার অভ্যন্তরে ১২টির বেশি পাহাড়ে ভূমিধসের ঝুঁকিতে আছে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। এসব পাহাড়ে ১২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি তৈরি করে বসতি করছে দুই লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে অন্তত ৭০/৮০ হাজার মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল বলেন, ভারী বর্ষণে ভূমিধসে প্রাণহানি ঘটতে পারে। তাই লোকজনকে পাহাড় ছাড়তে অনুরোধ জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। স্বেচ্ছায় তারা সরে না এলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কক্সবাজার পৌরসভার (ভারপ্রাপ্ত) মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির বলেন, পাহাড় কাটার মাটি বৃষ্টির পানির সঙ্গে ভেসে এসে শহরের নালা-কালভার্ট ভরাট হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হবে শহরের অলিগলি। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
কক্সবাজারে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্ক প্রশাসন
0
Share.