বাঙালির সাহসের প্রতীক

0

ঢাকা অফিস: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আজ এক ঐতিহাসিক দিন। স্বাধীনতার পর বাঙালির মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর আরেকটি শুভ্র প্রহর। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উচ্চারণ আর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দিন। বাঙালি জাতির সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলো আজ। শেখ হাসিনার আজন্ম সাহসিকতা আর বিজয়ের প্রতীক হিসেবে এই সেতু বাংলাদেশ ছাপিয়ে বিশ্বের দরবারে উন্নয়ন খাতে মাথা উঁচেু করে দাঁড়াবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন বিশ্ব দরবারে দেশ ও জনগণকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ এবং যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলেই বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে আজ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সকাল ৯ টায় অমন্ত্রিত অতিথিরা আসন গ্রহণ করেন। সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তের অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর এক মিনিট পরই প্রদর্শন করা হয় প্রামাণ্য চিত্র। এরপর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সকাল ১০টা পাঁচ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য দেন। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে পদ্মা সেতুর থিম সং দেখানো হয়। প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্য শেষে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন তিনি। পরে মোনাজাত প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা প্রান্তে এসে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এরপরই সর্বসাধারণের পারাপারের জন্য সেতুটি উন্মোক্ত করে দেওয়া হবে। সেতু খুলে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে দক্ষিঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক পথে যোগাযোগের এক নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ ‘পদ্মা সেতু’ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার দিনকে বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক দিন হিসাবে অভিহিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামী দিনেও গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা ও স্বপ্ন পূরণে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অভিন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের এই গৌরবময় বড় অর্জনে। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরেকারে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তারা। সেই সঙ্গে দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মানের সাহসিকতার প্রশংসা করেণ। বিশ্ব নেতারা মনে করেন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। হাজার ব্যর্থতা আর গ্লানি মুছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রাজধানীসহ সারা দেশের সঙ্গে এক সুতোই যুক্ত করা এক গৌরবের নাম। সেতুটি উদ্ভোধনের মধ্য দিয়ে পদ্মাপারের মানুষের শত বছরের বঞ্চনা শেষ হলো আজ। সেই সঙ্গে মুছে গেল অজস্র দুঃখ। কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতু নির্মাণের প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে তা বাস্তবে রূপ নিতে পেরিয়ে গেছ দুই যুগ। অনিয়মের অভিযোগ পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সড়ে উন্নয়নসহযোগীরা বিশ্বব্যাংকের পাশাপাশি বৃহৎ এই প্রকল্প অর্থায়ন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী উনন্নয়ন ব্যাংক ও জাপান সরকারে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকা। উন্নয়ন সহযোগীদের এমন আচরণেই কিনা ক্ষুব্ধ হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘেষাণা দেন শেখ হাসিনা। নিজস্ব অর্থায়নে প্রধানন্ত্রীর শেখ হাসনিার সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা সেসময় অনেকে হালকাভাবে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে দেশের বহু রাজনৈতিক, পণ্ডিত বিষয়টিকে দিবাস্বপ্নের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেই সঙ্গে উপস্থাপন করেন অর্থায়নের জটিল সব সমীকরণ। কোনো সমীরকরণেই যখন পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্ভব নয় বলে ধরে নেওয়া হয়, ঠিক সেই সব সমীকরণই ভুল প্রমাণ করেন শেখ হাসিনা। অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন মনে করেন পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু একটা উন্নয়নের মাইলফলক। এর আগে বাংলাদেশে এতো বড় প্রকল্প হয়নি। যে কারণে বড় প্রকল্প করার ক্ষেত্রে সরকার যে সাহস দেখিয়েছে সেটা অন্য যেকোনো প্রকল্পের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে। ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সালে সেতু নিয়ে অনেক বিরুপ মন্তব্য শুনতে হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো সেতু নির্মাণের ফলে আমাদের জিডিপির আকার বাড়বে ১ দশমিক ২ শতাংশ। এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আগে ঢাকা, গাজীপুর ও নারয়ণগঞ্জ কেন্দ্রীক যে শিল্পায়নটা ছিলো সেটা বিকেন্দ্রীক হয়ে যাবে অদুর ভবিষ্যতে। এছাড়া তাৎক্ষনিক যে পরিবর্তনটা আসবে সেটা হলো পর্যটন। পদ্মসেতু দেখতে আগামী কয়েক বছর সেতু এলাকায় মানুষ ঘুরতে যাবে। ফলে সেতু এলাকা কেন্দ্রীক পর্যটনের দুয়ার খুলবে। পদ্মার দুই পারের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে পর্যটন বড় ভূমিকা রাখবে। জাহিদ হোসেন বলেন, খুলনা বাগেরহাটের মানুষ আগে কক্সবাজার, রাঙামাটি, বা সিলেটেসহ দেশের বিভিন্ন পর্যপটন এলাকায় যেতো না। আবার অন্য অঞ্চলের মানুষ কুয়াকাটা, সুন্দরবনের দিকে যেতো কম। এখন দুই দিক থেকেই পর্য্টনের সম্ভাবনা বাড়বে। রাতারাতি সব হয়ে যাবে তা-না। একটু সময় লাগবে। সরকার এসব বিষয়ে অনেক পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে। পদ্মা সেতুতে ব্যয়ের ১ টাকায় ডাবল রিটার্ন আসবে জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, পদ্মসেতু খরচের ১টাকার বিপরীতে আয় হবে ২ টাকা। সেতু নির্মাণে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন যে ব্যয় সেটার দিগুন রিটার্ন আসবে, তার জন্য সময় লাগবে। এছাড়া পদ্মার দুই পারের মানুষের জীবনেও আসবে পরিবর্তন। দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকরা যুক্ত হবে দেশের বড় বাজারের সঙ্গে। যেটা আগে ছিলো না। পদ্মা সেতু দেশর উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

যেভাবে এলো সেতুর পরিকল্পনা সর্বপ্রথম ১৯৯৮ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে পদ্মা সেতু নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সেতুর পরিকল্পনা বিষয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আশা আকাঙ্খার কথা সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে কয়েক দফা মন্ত্রীসভা বৈঠকের পর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়। ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলেও সেতু নির্মাণের বিষয়টি ছিলো কেবলই ‘টেবির টক’। দুই একবার এই বিষয়ে আলোচনা হলেও সেতু নির্মাণের কোনো রুপকল্পই দ্বার করাতে পারেনি তৎকালীন খালেদা জিয়ার সরকার। তবে ২০০৮ সালের শেষ সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়ণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ২০০৯ সালে ১৯ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করে।

বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীদের অসহযোগিতা ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমাতায় এলে নয়টি বড় প্রকল্প হাতে নেয় তার একটি পদ্ম বহুমুখী সেতু। এগুলোকে সরকারে অগ্রাধিকার বা প্রায়োরিটি বেসড ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর এসব প্রকল্পের সঙ্গে শুরু থেকেই যুক্ত হয় বিশ্ব ব্যাংক। পদ্মা সেতু নির্মাণে ১৯০ কোটি ডলারের যে ব্যয়ের হিসাব ধরা হয় তার মধ্যে ১২০ কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয় বিশ্বব্যাংক। যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৬৩ শতাংশ। এছাড়া এই প্রকল্বে এডিবি ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলার, জাইকা ৪০ কোটি ডলার এবং আইডিবি ১৪ কোটি ডলার ঋণ দিতে সরকারে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। সেতু প্রকল্প ঋণ প্রদানের আগেই নানা অনিয়মের অভিযোগে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। অনিশ্চয়তায় পরে যাওয়া পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে একে একে সেড় পরে বাকি উন্নয়ন সহযোগীরা। সেসময় দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্রেমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতেও চাপ দেয় দাতা সংস্তাগুলো।

নিজস্ব অর্থায়ন ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা জানান সে সময়ের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর সেতু পকল্পের ব্যয়ে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। আর ১ শতাংশ সুদহারে ৩৫ বছরের মধ্যে এ অর্থ পরিশোধ করা বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ণের সঙ্গে চুক্তি হয় সরকারের।

২৩৮৫ দিনে হলো পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করার চূড়ান্ত পরিকল্পনার পর ২০১৫ সালে ১২ ডিসেম্বর বর্তমান প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। আর সেতু নির্মাণের কাজ শতভাগ করে সরকারে সড়ক বিভাগের কাছে চলতি মাসের ২২ জুন বুঝিয়ে দেওয়া হয়। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্ট সহ ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার (মূল সেতু ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার) নির্মাণ করতে সময় লেগেছে ছয় বছর ছয় মাস ১১ দিন বা ২ হাজার ৩৮৫ দিন।

প্রকল্প ব্যয় পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় টাকা। সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। আর নকশার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছ থেকে পৌনে দুই কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে সেতু বিভাগ। পদ্মাসেতু নির্মাণে যে মোট টাকার অংকের কথা বলা হয় তা পুরোটা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়নি। মোট বড় তিনটি খাতে খরচ হয়েছে এই টাকা। এর মধ্যে সেতু নির্মাণ, নদী শাসন ও ভূমি অধিগ্রহণ রয়েছে। পদ্মা সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে জলভাগ পদ্মা নদীতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার, স্থলভাগে অর্থাৎ মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে পড়েছে ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার। সেতুর প্রস্থ ১৮ দশমিক ১০ মিটার। প্রকল্পে মূল সেতু নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১১ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা। এছাড়া নদী শাসনে খরচ হয়েছে ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে দুই হাজার ৬৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা

কত সময় উঠবে সেতুর খরচ সেতু কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসেবে প্রতিদিন গড়ে পদ্মাসেতু দিয়ে প্রতিদিন ৪১ হাজার ৫৫০টি যানবাহন পদ্মা সেতু পারাপার সেই হিসেবে ১৮ বছরেই যানবাহনের টোল থেকেই সেতুর সমুদয় খরচ উঠে আসবে। আর ৩৫ বছরে এই সেতু থেকে এক লাখ কোটি টাকার আয় করতে পারবে সেতু বিভাগ।

পদ্মার সেতুর যত রেকর্ড পদ্মা সেতু নানান কারণে কিছু বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। আমাজানের পর পৃধিবীর সবচেয়ে খরস্রোতা নদী পদ্মা। তাই সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে মাটির ১২০ থেকে ১২৭ মিটার গভীরে গিয়ে পাইল বসানো হয়েছে। এতো গভীরে পৃথিবীর আর কোনো সেতুর পাইল বসানোর রেকর্ড নেই। এছাড়া সেতুতে ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’ এর সক্ষমতা ১০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। এখন পর্যন্ত পৃথিবী কোনো সেতুতে ব্যবহার করা সচেয়েঢ শক্তিশালী ও বড় বিয়াইরং ব্যবহার করা হয়েছে পদ্মা সেতুতে। পিলারের ওপর স্প্যান বসাতে যে ক্রেনটি ব্যবহৃত হয়েছে সেটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রেন। এটি আনা হয়েছে চীন থেকে।

 

Share.