ঢাকা অফিস: হজের জন্য সৌদি আরবে গিয়ে ভিক্ষা করার অভিযোগে এক বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়েছেন। পরবর্তীতে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনে সৌদিস্থ বাংলাদেশ হজ মিশন। এই হজযাত্রীর নাম মতিয়ার রহমান, তার বাড়ি মেহেরপুরে। তিনি ধানসিড়ি ট্রাভেল এয়ার সার্ভিস (হজ লাইসেন্স নং-৭৩৭) নামের একটি এজেন্সির মাধ্যমে হজে গিয়েছিলেন। সৌদিতে কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় এই হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে ‘কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না’ তার জবাব দিতে নোটিস দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, ২২ জুন সৌদি স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৫টার দিকে মদিনায় ভিক্ষা করতে গিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন মেহেরপুরের মতিয়ার রহমান। এ ঘটনা জানার পর সৌদিতে বাংলাদেশ হজ মিশনের একজন কর্মী থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। মতিয়ার রহমান নিজের টাকার ব্যাগ ছিনতাই হওয়ার নাটক সাজিয়ে সেখানে ভিক্ষা করছিলেন। এই হজযাত্রীর বসবাসের জন্য বাড়ি-হোটেলের ব্যবস্থাও করেনি ধানসিড়ি ট্রাভেল এয়ার সার্ভিস। একইসঙ্গে এই হজযাত্রীকে গাইড করার মতো কোনও মোনাজ্জেম ছিল না । এ ঘটনায় ধানসিড়ি ট্রাভেল এয়ার সার্ভিসের (হজ লাইসেন্স নং-৭৩৭) স্বত্বাধিকারী আল মামুনকে নোটিস দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন সাক্ষরিত নোটিসে বলা হয়েছে, আপনার পরিচালিত ধানসিড়ি ট্রাভেল এয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জবাব ৩ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। অভিযোগে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় সৌদিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এই এজেন্সির এ কার্যক্রমের কারণে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হয়েছে। সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে, যা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ এর পরিপন্থী। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) শীর্ষ নেতার বলছেন, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির কঠোর শান্তি হওয়া উচিত। এসব ঘটনায় কঠোর শাস্তি না হলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। এজেন্সির বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি, সাংগঠনিক ভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।