বাংলাদেশ থেকে গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরে ঢাকা-গোপালগঞ্জ রুটে বাসে নির্ধারিত হারের চেয়ে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাস মালিকদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) থেকে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও ওই রুটের চলাচলকারি বাস মালিকেরা মানছেন না এ নির্দেশনা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে বিভিন্নভাবে তারা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ঢাকা-গোপালগঞ্জ ভায়া পদ্মা বহুমুখী সেতুর ওপর দিয়ে গোপালগঞ্জে যাওয়ার ভাড়া নির্ধারণ করেছে ৩৯২টাকা ২৪ পয়সা। কিন্তু পরিবহন কোম্পানীগুলো সেটা তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত ভাড়া হিসেবে ৪৩০ টাকা রাখছে। এই রুটের বাস কোম্পানিগুলো কোনোদিনই সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেয়নি। সব সময় তার থেকে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া আদায় করেছে। নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর না করা গেলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। সাধারণ যাত্রীরা জানান, ঢাকা-গোপালগঞ্জ রুটে চলাচলকারী বাস মালিকেরা আমাদের গোপালগঞ্জ এর জনগণের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে টালবাহানা করেছে। বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়া ৩৯২ টাকা কার্যকর না করে তারা ইচ্ছা মাফিক ৪৩০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করছে। তাদের ভাষ্যমতে, তারা গুলিস্থান থেকে পাটগাতি পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করছে যা গোপালগঞ্জ এর জনগণের সাথে পুরোপুরি একটা প্রতারণা। ১৪ জুন সড়ক বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে দূরত্ব দেখানো হয় ১৪৫ কিলোমিটার। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ জুন বিআরটিএ এক বৈঠকে ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করে ৩৯২ টাকা ২৪ পয়সা করে। অথচ সেই ৩৯২ টাকার ভাড়ার জায়গায় প্রতিটি বাসে ভাড়া আদায় করছে ৪৩০ টাকা। কেউ এই ভাড়ার প্রতিবাদ করলে সেখান থেকে বলা হচ্ছে এই ভাড়ায় গেলে যাবেন, না গেলে যাবেন না। অনেকটা বিপদে পড়ে বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের। বাস কাউন্টার থেকে বলছে, মালিক পক্ষ আমাদের গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য ৪৩০ টাকায় টিকিট কাটতে বলেছেন। ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে কি না, আমরা তা জানি না। মালিক পক্ষ যা বলবে আমরা তাই করবো। তবে মালিক সমিতি এ বিষয় কথা বলতে রাজি হয়নি। এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সার্কেল গোপালগঞ্জ শাখার সহকারী পরিচালক লায়লাতুল মাওয়া বলেন, ঢাকা-গোপালগঞ্জ পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯২ টাকা ২৪ পয়সা। এর অতিরিক্ত ভাড়া নিলে মোব্ইাল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার নির্ধারিত বাস ভাড়া নেওয়া হোক এমনটাই দাবি জানিয়েছেন গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষ।