বাংলাদেশ থেকে ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহে প্রেম করে পালিয়ে যাওয়ার জের ধরে ছেলের মা লাইলি বেগমকে (৩৫) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের মা নাসরিন আক্তার (৩৮) ও তার সহযোগী আছিয়া আক্তার কনার (৩৬) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে নগরীর চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ঢাকায় নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাইলী বেগমের ছেলের সঙ্গে প্রতিবেশী খুকি (১৮) নামের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত রবিবার তারা এক অপরের হাত ধরে পালিয়ে যান। এমন ঘটনায় স্থানীয় লোকজন দুই পরিবারকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরই জের ধরে ছেলের মাকে আগুন দিয়ে ঝলসে দেয় মেয়ের মা নাসরিন আক্তার ও চাচি আছিয়া আক্তার কনা। তিনি আরো জানান, ঘটনার পরপরই লাইলি বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যায় স্বজনরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নারী মারা যান। লাইলী বেগমের স্বামী আবদুর রশিদ বলেন, প্রতিবেশী কাজল মিয়া ওরফে খোকনের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার ছেলের। কাজল মিয়া এ সম্পর্ক মানতে না পেরে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে গত রবিবার ছেলে ও মেয়ে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে গতকাল স্থানীয়ভাবে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই তার স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। আবদুর রশিদ আরও বলেন, আগুন দেওয়ার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দগ্ধ অবস্থায় লাইলী বেগমকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছে নিহতের পরিবার। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ এখনো ঢাকায় রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত হবে।
