মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৫

টুইটার কেনার চুক্তি বাতিল করলেন ইলন মাস্ক

0

ডেস্ক রিপোর্ট: মাস্কের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী বলেছেন, টুইটার চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলেনি। মাস্কের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা চুক্তির জন্য প্রাসঙ্গিক ব্যাবসায়িক তথ্য তারা সরবরাহ করেনি। টুইটারের বোর্ড চেয়ার ব্রেট টেলর জানিয়েছেন, চুক্তি কার্যকর করতে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা। টুইটার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক এখন আর টুইটার কিনতে চান না। সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার টুইটারের প্রধান আইন কর্মকর্তার কাছে ইলন মাস্কের পক্ষ থেকে এক আইনজীবীর পাঠানো চিঠিতে এমনটাই বলা হয়েছে। যদিও টুইটারের বোর্ড চেয়ার ব্রেট টেলর জানিয়েছেন, চুক্তি কার্যকর করতে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা। টেলর বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ডেলোয়্যার কোর্ট অফ চ্যান্সারিতে জয়ী হব।’ মাস্কের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী বলেছেন, টুইটার চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলেনি। মাস্কের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা চুক্তির জন্য প্রাসঙ্গিক ব্যাবসায়িক তথ্য তারা সরবরাহ করেনি। কখনো কখনো মাস্কের অনুরোধ তারা উপেক্ষা করেছে এবং কখনো অযৌক্তিক বলে সেগুলো সরবরাহের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইলন মাস্কের এই চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর টুইটারের শেয়ারের দাম ৬ শতাংশ কমে গেছে। এর আগে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কেনার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা স্থগিত করেছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের স্প্যাম এবং ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে সর্বশেষ তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য অপেক্ষা করবেন মাস্ক। ইলন মাস্ক বলেছিলেন যে, টুইটারের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর ৫ শতাংশ স্প্যাম অ্যাকাউন্ট। গত ৪ এপ্রিল টুইটারের প্রায় ৯.২ শতাংশ শেয়ারের মালিক হন ইলন মাস্ক। যার জন্য তিনি খরচ করেছেন ২.৪ বিলিয়ন ডলার। সে সময় একক মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বেশি শেয়ারের মালিক হলেও ১০ এপ্রিল টুইটার বোর্ডের মিটিংয়ে যোগ দিতে অস্বীকার করেন তিনি। পরে ইলন মাস্ক তার পরিকল্পনা স্পষ্ট করেন যে, তিনি আসলে পুরো টুইটারই চান। ১৪ এপ্রিল ইলন মাস্ক টুইটারের বাকি শেয়ারগুলোর প্রতিটি ৫৪.২০ ডলারে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেন, যা আগের কেনা ৯.২ শতাংশ শেয়ারের থেকে ৩৮ শতাংশ বেশি। ইলন মাস্কের বক্তব্য ছিল, কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য বাকস্বাধীনতা একটি সামাজিক বাধ্যবাধকতা। বর্তমান কাঠামোতে টুইটার তা দিতে পারবে না। পরে তিনি ‘সেরা ও চূড়ান্ত’ প্রস্তাব হিসেবে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কোম্পানিটিকে ব্যক্তিগতভাবে কিনে ফেলার প্রস্তাব দেন। এর আগে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে টেডের এক সাক্ষাৎকারে দেয়া বক্তব্যে মাস্ক জানান, টুইটার থেকে আয়ের কোনো লক্ষ্য নেই তার। বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন বাকস্বাধীনতাই তার লক্ষ্য। এমনকি টুইটারের অভ্যন্তরীণ সব কিছু একজন ব্যবহারকারী যাতে জানতে পারে, তার জন্য টুইটারের অ্যালগরিদমও উন্মুক্ত করে দিতে চান তিনি।

Share.