ডাক্তারের অবহেলায় লক্ষ্মীপুরে প্রসূতির মৃত্যু

0

বাংলাদেশ থেকে লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ডাক্তারের অবহেলায় অনাগত সন্তানসহ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। এতে প্রসূতি এবং তার সন্তান দুইজনেরই মৃতুই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে জেলা শহরের উপশম হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রসূতির স্বজনরা ডাক্তারের বিচারের দাবি করেছেন। নিহতের বাড়ি রায়পুর উপজেলার চরমোহনা গ্রামের বাবুর হাট গ্রামে। এ নিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত হাসপাতাল চত্ত্বরে হাজারো লোকের ভিড় জমে। জানা গেছে, নিহত প্রসূতি মায়ের আরো দুইটি শিশু সন্তান রয়েছে। তারা হচ্ছে ছেলে সন্তান রাহিন (৫) এবং কন্যা শিশু মুনতাহার (৩)। এ ঘটনায় প্রসূতির স্বজনরা ডাক্তারের বিচারের দাবি করেছেন। এ নিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত হাসপাতাল চত্ত্বরে হাজারো লোকের ভিড় জমে। উপশম থেকে জেলা সদর হাসপাতাল এলাকায় প্রসূতির স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে হাসপাতালে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। নিহতের স্বামী সোহেল হোসেন বলেন, রাত ৯টার দিকে সিজার করানোর জন্য উপশম হাসপাতালে ২৫ বছর বয়সের বয়সী মুক্তার আক্তার নিজেই অপেরেশন থিয়েটারে প্রবেশ করেন। পরে ডা. শংকর কুমার বসাক তাকে একটি ইনজেকশন পুশ করার পর মুক্তা তার অনাগত গর্ভের সন্তানসহ মারা যায়। অজ্ঞান করার ইনজেকশন এর মেয়াদ ছিলো না বলে অভিযোগ স্বজনদের। এতে প্রসূতি এবং তার গর্ভে থাকা সন্তান দুইজনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। নিহতের বোন শান্তা বেগম অভিযোগ করেন, ডাক্তারের অবহেলায় আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে, আমরা এর বিচার চাই। এ ব্যাপারে ডা. শংকর কুমার বসাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইনজেকশন দেয়ার ঘটনা অস্বীকার করেন। অপেরেশন থিয়েটারে যাওয়ার পরে প্রসূতি মুক্তা বলেন; আমার খারাপ লাগছে। আমাকে ধরেন। এরপর তার সমস্ত শরীর নীলাভ হয়ে নিস্তেজ হয়ে যায়। তাকে কোনো ইনজেকশন করা হয়নি। এরকম হাজারে দুই একটি হয়ে থাকে। তার জরায়ু পেটে গেছে। তবে রোগীর স্বজনরা তা অস্বীকার  করেছেন। রাতে শহর ফাঁড়ির এস আই তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করতে দেখা গেছে।

Share.