বাংলাদেশ থেকে সিলেট প্রতিনিধি: সুইস ব্যাংকসহ যেসব দেশে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয় সেসব ব্যাংক ও দেশের কাছে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য জানতে চাইলেও তারা তথ্য দেয় না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। শুক্রবার সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ‘ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক’ মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। ড. মোমেন বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সুইস ব্যাংকের কাছে অতীতে ৬৭ জনের নাম উল্লেখ চিঠি দিয়ে তাদের অর্থের তথ্য চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা শুধু একজনের তথ্য দিয়েছিলো। আরও কয়েকবার তথ্য চাওয়া হলেও তাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন তথ্য চাওয়া হয়নি। যা তথ্যের বিভ্রাট হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, এই রাষ্ট্রদূত নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন তাই অনেক কিছু জানেন না। সুইজারল্যান্ড আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। আমরা তাদের কাছে তথ্য বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানাই। সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোমেন বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মন্দা চলছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে। একটি পক্ষ বলছে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। এরা প্যানিক ছড়াচ্ছে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। বৈশ্বিক মন্দার কারণে আমরাও কিছুটা সংকটে আছি কিন্তু আমাদের রিজার্ভ যথেষ্ট আছে। তবে আগামীর সংকট বিবেচনায় আমরা কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে রিজিওনাল হাব হিসেবে ব্যবহার করতে এ বিমানবন্দরে উন্নয়নকাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রানওয়ে বড় করাসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও জেলা আমাদের বিমানবন্দর ও স্থল বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এতে আমরা ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হব। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশাররফ হোসেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ থেকে সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য জানতে চাইলেও তারা তথ্য দেয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
0
Share.