পাবনায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

0

বাংলাদেশ থেকে পাবনা প্রতিনিধি: প্রেম করে বিয়ে পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গৃহবধূ রুমানা পারভিনকে হত্যার ঘটনায় স্বামী মো. আব্দুল্লাহ ওরফে অকাতকে (২২) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আব্দুল্লাহ ওরফে অকাত সদর উপজেলার ভাঁড়ার মো. আব্দুল লতিফের ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তি দেয়া হয়। নিহত রুমানা সদর উপজেলার ভাড়াঁরা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর রাত ২টার যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রুমানা দাবিতে ব্যাপক মারপিট ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় অকাত। পরে নিহতের বাবা রফিকুল বাদী হয়ে সদর থানায় চারজনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরের বছরের ১৬ জানুয়ারি ৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলা চলাকালে এক আসামি মৃত্যু হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষর শেষে আজকে রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী ও পরিবার। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস.এম ফরিদ উদ্দিন জানান, রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখানে আসামি সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করছি। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এটি একটি যুগান্তরকারী রায়। এর মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

Share.