আমরা বিশ্বাস করি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য সৃষ্টি হবে: ফখরুল

ঢাকা অফিস: সরকারের পতনে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি হবে বলে বিশ্বাস করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য সৃষ্টি হবে। আমরা সেই আহ্বানও করেছি। দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা পারব।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (একাংশ) কাজী জাফর আহমেদের স্মরণসভায় সোমবার দুপুরে তিনি একথা বলেন। কাজী জাফরের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্মরণসভার আয়োজন করে জাতীয় পার্টি (একাংশ)। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সবচেয়ে বড় ভয় পেয়েছে তারা (সরকার) কারণ জনগণের ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের এই ঐক্য আজকে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে।’ ‘সারাদেশে বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে আসছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ তাদের প্রতিবাদ করছে। এজন্য সরকার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে।’ জাতি অত্যন্ত সংকটময় সময় অতিক্রম করছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রের মাতা যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন সংগ্রাম করেছেন। গতকাল (রবিবার) আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তার মুক্তির সংগ্রাম করছি, দীর্ঘদিন ধরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার কথা বলছি।’ ‘এ সরকার নির্বাচিত নয়, তাই তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তারা মনে করে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা বেগম খালেদা জিয়া। আর এ কারণেই তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা, সব তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। নিজেরা ক্ষমতায় থাকার জন্য গোটা রাষ্ট্রকে তারা একটি ফ্যাসবাদী, একটি একনায়কতন্ত্র কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’ এসময় কাজী জাফরের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি সারাটা জীবন রাজনীতির মাঠে চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছেন। দেশের প্রতি তার ভালোবাসা, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্রের পক্ষে শোষণমুক্ত সমাজের পক্ষে রাষ্ট্র নির্মাণের পক্ষে সারাটা জীবন তিনি লড়াই করেছেন সংগ্রাম করেছেন। কখনো সরকারে থেকে, কখনো সরকারের বাইরে থেকে।’ জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, ২০ দলীয় জোট নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খন্দকার লুৎফর রহমান, এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।