ডেস্ক রিপোর্ট: ইরাকের বাগদাদের নিরাপত্তা এলাকা গ্রিন জোন ছেড়ে চলে গিয়েছে দেশটির শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সদরের সমর্থকরা। গ্রিন জোনে আল-সদরের সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত ও সাতশর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শতাধিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। আলজাজিরা জানায়, মঙ্গলবার আল-সদর তার সমর্থকদের গ্রিন জোন ছেড়ে চলে যাওয়া ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান। ইরাকের কেন্দ্রীয় শহর নাজাফে অবস্থিত ঘাঁটি থেকে আল-সদর সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সহিংসতার কারণে ইরাকের জনগণের কাছে ক্ষমা চান। টেলিভিশনে তার বক্তব্য প্রচারের পর তার সমর্থকরা গ্রিন জোন ছেড়ে চলে যাওয়া শুরু করে। এরপর শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছনতাকর্মীরা গ্রিন জোনে পড়ে থাকা বিভিন্ন ময়লা পরিষ্কার করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই দেশজুড়ে কারফিউ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় সেনাবাহিনী। গত সোমবার গ্রিন জোনে সহিংসতার জেরে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেছিল দেশটির সামরিক বাহিনী। ইরাকে আল-সদর খুবই প্রভাবশালী একজন রাজনীতিবিদ। গত সোমবার এক বিবৃতিতে মোকতাদা আল-সদর রাজনীতি থেকে চিরতরে অবসরের ঘোষণা দেন। এমনকি নিজের সকল রাজনৈতিক কার্যালয় ও সেগুলোর কার্যক্রমও বন্ধের ঘোষণা দেন তিনি। তার দাবি, তিনি কখনোই নেতৃত্ব এবং ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের দাবিদার ছিলেন না। তাই চিরদিনের জন্য রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। অবশ্য নয় বছর আগেও একবার রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তবে পরে আবারও তিনি রাজনীতিতে ফিরে আসেন। তার এ ঘোষণার পরই তার সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করে। তারা দেশটির বিশেষ নিরাপত্তা এলাকা হিসেবে পরিচিত গ্রিন জোনে প্রবেশ করে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সমর্থকদেরকে শান্ত থাকতে অনশনের (হাঙ্গার স্ট্রাইকের) ঘোষণা দিয়েছিলেন আল-সদর। ইরাকের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।
বাগদাদের গ্রিন জোন ছাড়ল মোকতাদা আল-সদরের সমর্থকরা
0
Share.