ঘুমধুমের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিশেষ কাউন্সিলিং ক্লাস

0

বাংলাদেশ থেকে বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্তে একমাসের বেশি সময় ধরে চলছে মিয়ানমারের আগ্রাসী আচরণ। এই সময়ের মধ্যে মর্টারশেলে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক যুবক নিহত হয়েছে। এর আগে মাইন বিস্ফোরণে পা উড়ে গেছে এক বাংলাদেশির। সবমিলিয়ে সেখানে আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্ত এলাকার মানুষদের। এরইমধ্যে স্থানীয় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সরিয়ে নেয়া হয়। একইসঙ্গে, গতকাল রবিবার সেখানকার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মনোবল অটুট রাখতে বিশেষ কাউন্সিলিং ক্লাস করানো হয়। এরপরও ভয় কাটছে না শিক্ষার্থীদের। অন্যদিকে রবিবার রাতেও তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় ১২টি মর্টারশেল এসে পড়ে মিয়ানমার থেকে। এসব শেলের মুহুর্মুহু শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা ঘুমধুম ইউনিয়ন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেখান থেকে কেন্দ্র সরিয়ে উখিয়ায় নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থীদের পুলিশের পাহারায় বাসযোগে কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের মনোবল অটুট রাখতে শিক্ষা কর্মকর্তারা বিশেষ কাউন্সিলিং ক্লাস নিয়েছেন গতকাল। আরও ক্লাস নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানান সালমা ফেরদৌস। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘যতদিন দরকার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের জন্য ততদিন বাসের এই সুবিধা দেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সীমান্তে আতঙ্কজনক পরিস্থিতির কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সরিয়ে নেওয়া হয়। গত শনিবার সকালে ঘুমধুমের উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। ঘুমধুম কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উখিয়ার কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে উখিয়া থানা পুলিশ দুটি বাসের ব্যবস্থা করেছিল। সকালে তাদের ওই বাসে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

Share.