তাজিকিস্তান-কিরগিজস্তান সীমান্ত সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে-৮১

0

ডেস্ক রিপোর্ট: সম্প্রতি মধ্য এশিয়ার দুই প্রতিবেশি দেশ তাজিকিস্তান এবং কিরগিজিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ তীব্রতর হয়েছে। সর্বশেষ সংঘর্ষে ৩৫ নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তাজিকিস্তান। এতে সামগ্রিকভাবে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ জনে। খবর আল-জাজিরার। তাজিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক পেজে বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশুসহ ৩৫ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। সেইসঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে সংঘর্ষে আরও ১৩৯ জন আহত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আগের বিবৃতিতে ২৪ জন নিহতের কথা জানিয়েছিল। এদিকে, কিরগিজ পক্ষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। সাম্প্রতিক এই সংঘাত দেশ দুইটির কয়েক বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কিরগিজস্তান জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের নিকটবর্তী গ্রাম থেকে প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রবিবার কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের মধ্যে ‘আর কোনো উত্তেজনা না বাড়াতে’ আহ্বান জানিয়েছেন। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে পুতিন তাদের ‘একচেটিয়াভাবে শান্তিপূর্ণ, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি সমাধানের পদক্ষেপ নিতে’ আহ্বান জানান। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের উভয় দেশই এখন রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার (সিএসটিও) অংশ, কিন্তু তাদের মধ্যে নিয়মিত উত্তেজনা বাড়ছে। শুক্রবার উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। কিরগিজ কর্তৃপক্ষ রবিবার সকালে বলেছে, ‘দেশের নেতৃত্ব পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে, উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ রবিবার বিকেলে কিরগিজ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি জারি করে বলেছে, সীমান্তের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং স্থিতিশীলতার দিকে ঝুঁকছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উভয় পক্ষের নেতৃত্বকে ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য সংলাপে যুক্ত হওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন বলে এক মুখপাত্র বলেছে। সীমান্ত বিরোধ প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলিকে তাদের তিন দশকের স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে আটকে রেখেছে। তাদের প্রায় অর্ধেক (৯৭০ কিলোমিটার) সীমান্ত এখনও অমিমাংসিত রয়ে গেছে। ২০২১ সালে দুই দেশের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘর্ষ হয়েছিল। সেবার অন্তত ৫০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

Share.