ফরিদপুরে বিয়ের গেটে পার্টি স্প্রে ছোড়া নিয়ে বর-কনে পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙল বিয়ে

0

বাংলাদেশ থেকে ফরিদপুর প্রতিনিধি: গাড়ি বহর নিয়ে আনন্দ উল্লাসে কনের বাড়িতে আসেন বরসহ ৭০ জন বরযাত্রী। বাড়ির সামনে এলে গাড়ি থেকে বরকে হাসিমুখে নামিয়ে নেন কনেপক্ষ। সাজানো বিয়ের গেটে বরকে বরণ করা হয়। খাওয়ানো হয় মিষ্টি ও শরবত। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল, তবে বিপত্তি বাধে পার্টি স্প্রে ছোড়া নিয়ে। আর এতেই বিপত্তি বাধে। তুচ্ছ ঘটনা রুপ নেয় সংঘর্ষে। ভেঙে যায় বিয়ে। বিয়ের গেট থেকেই ফিরে যান বরপক্ষ। শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের বারখাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুপক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশ। লস্কারদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বাবুল বলেন, শুক্রবার গ্রামের কবির শেখের মেয়ের সঙ্গে সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের মিনাজদিয়া চান্দাখোলা গ্রামের মো. ছোরাপ মাতুব্বরের ছেলের বিয়ের আয়োজন করা হয়। জুম্মার নামাজের পর বরযাত্রী ওই বাড়িতে যান। এ সময় গেটে পার্টি স্প্রে ব্যবহার করা নিয়ে বর ও কনেপক্ষের কয়েকজন তরুণের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায় দুপক্ষ সংঘর্ষের জড়িয়ে যায়। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে। পরে বিয়ে ভেঙে গেলে বরযাত্রীর লোকজনকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেই। এতে কনেপক্ষের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। কনেপক্ষের দাবি, বিয়ের আয়োজন করতে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন তারা। তবে ঝামেলার কারণে বরপক্ষ খাবার না খাওয়ায় সেই খাবার এলাকাবাসীকে খাওয়ানো হয়েছে। বরের এলাকা সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু মোল্লা বলেন, আমার পাশের গ্রামেই বরের বাড়ি। শুক্রবার আমাদের এখান থেকে বরসহ ৭০ জন বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে কনের বাড়িতে যান। সেখানে যাওয়ার পর গেটে পার্টি স্প্রে নিয়ে বর-কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি ওই এলাকার চেয়ারম্যান মীমাংসার চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন বলে শুনেছি। তবে কাজ হয়নি। ঘটনার পর কনেপক্ষ আর বিয়েতে রাজি হয়নি। পরে বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বরযাত্রী না খেয়েই কনের বাড়ি থেকে চলে আসেন। এ ঘটনায় বরের পক্ষের দুজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বাইজিদ নামে বরের ভাতিজা গুরুতর আহত হন। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিয়ে বাড়িতে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ওই বিয়ে বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এ ঘটনায় কনেপক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.