বাংলাদেশ থেকে বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার বেতাগী উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন কিশোর নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বরগুনা-বেতাগী মহাসড়কের কাজিরহাট সংলগ্ন খাঁনেরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত তিন কিশোর হলো- বেতাগী উপজেলার ৭ নং সরিষামুড়ি ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কবির মৃধার ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১৩), ৪ নং মোকামিয়া ইউনিয়নের বড় মোকামিয়া গ্রামের বাসিন্দা রফিক মৃধার ছেলে রাব্বি মৃধা (১৪), ৪ নং মোকামিয়া ইউনিয়নের মোকামিয়া গ্রামের বাসিন্দা আল-আমিন এর ছেলে সিয়াম (১৩)। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেতাগী উপজেলা মোকামিয়া দরবার শরিফে অনুষ্ঠিত মাহফিলে আসেন রফিক মৃধার ছেলে রাব্বি মৃধা। সঙ্গে ছিলো আরো দুই কিশোর। মাহফিল থেকে রাত ১২টার পরে বাড়ি ফেরার পথে বেতাগী-বরগুনা মহাসড়কের কাজিরহাট সংলগ্ন খাঁনেরহাট এলাকায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিন কিশোর আহত হয়। পরে বেতাগী থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকের ধারণা দুর্ঘটনার ঘটনাস্থলেই মারা গেছে তিন কিশোর। এদিকে নিহতদের স্বজনরা দাবি করেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পরও প্রাণ ছিলো একজনের। কর্তব্যরত চিকিৎসক যদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকতেন এবং তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা দিতে পারতেন হয়তো বেঁচে যেত ওই কিশোর। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জসিম উদ্দিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত রাব্বি মৃধার বড় ভাই মো. রাজিব বলেন, বাড়ি থেকে চাচার মোটরসাইকেল নিয়ে মাহফিলে আসেন ছোটভাই রাব্বি। বাড়ি যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সঙ্গে ছিল তার বন্ধু ইয়াসিন আরাফাত ও সিয়াম। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা দায়িত্বরত বেতাগী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জিহাদ বলেন, গাড়ির গতি এত বেশি ছিলো যে, রাস্তার পাশে থাকা দূরত্ব পরিমাপক ভিত্তি প্রস্তর ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে। বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ-আলম হাওলাদার বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ খুব দ্রুত পৌঁছায়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। বরগুনা জেলা সদর হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন কিশোর নিহত
0
Share.