ঢাকা অফিস: জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তাতে নির্বাচনের সময় কমিশনের কার্ডধারী সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের কাজে বাধা দিলে দুই থেকে সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, বৈঠকে সংশোধনীর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এ আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার সময় আরও কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। কোনটি থাকবে, তা সরকার ঠিক করবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি। চলমান নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিএনপিসহ সমমনা একাধিক দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে আরপিও সংশোধন হলেও তাতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসছে না। অন্তত ১৫ থেকে ১৭টি ধারায় সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আরপিওর সংশোধনী প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার প্রস্তাব ২০২০ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০২২ সাল করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় উঠার আগে এ প্রস্তাব বেশ কয়েক বছর ধরে অপেক্ষমাণ ছিল। প্রস্তাবে ইভিএমে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার আঙুলের ছাপে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যালট ইস্যুর বিধান আরপিওতে যুক্তের প্রস্তাব করেছিল ইসি। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে তা সংশোধনী প্রস্তাবে থাকছে না। বিষয়টি সার্কুলার জারি করার বিদ্যমান যে প্রথা রয়েছে, তাই বহাল থাকছে। এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ এবং বিলখেলাপিরা তাঁদের খেলাপি টাকা পরিশোধ করলেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। পাশাপাশি ব্যালট পেপারের পেছনে অফিসিয়াল সিল ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর না থাকলে তা গণনায় আনা যাবে না- এমন বিধান স্পষ্ট করা হয়েছে।
নির্বাচনে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে দুই থেকে সাত বছর কারাদণ্ড
0
Share.