সোলাইমানি হত্যার ‘পুরুষোচিত’ প্রতিশোধের অঙ্গীকার কুদস বাহিনীর নতুন প্রধানের

0

ডেস্ক রিপোর্ট: আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের প্রভাবশালী ইসলামি বিপ্লবী বাহিনীর (আইআরজিসি) বিদেশি শাখা কুদস বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েছেন ইসমাইল কায়ানি। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আইআরজিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক পরিচিতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে রাখা বক্তব্যে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার ‘পুরুষোচিত’ প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি। গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলায় নিহত হন কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ওই হামলা চালায় মার্কিন সেনারা। সোলাইমানির মৃত্যুর পর কুদস বাহিনীর নতুন প্রধান হিসেবে জেনারেল কায়ানিকে নিয়োগ দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আল খামেনি। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে কুদস বাহিনীর দায়িত্ব নিয়ে জেনারেল ইসমাইল কায়ানি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাকে (সোলাইমানি) কাপুরুষোচিতভাবে আঘাত করেছে, কিন্তু আল্লাহর দয়ায় এবং সারা বিশ্বের যেসব মুক্তিকামী মানুষ তার রক্তের বদলা চায় তাদের মাধ্যমে আমরা শত্রুদের পুরুষোচিতভাবে পাল্টা আঘাত করবো’। সোলাইমানি হত্যার জবাবে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকের মার্কিন সেনা অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। প্রাথমিকভাবে ওই হামলায় কোনও মার্কিন সেনা হতাহত হয়নি বলে দাবি করে ওয়াশিংটন। তবে পরে ১১ সেনা আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তারা। জেনারেল ইসমাইল কায়ানিকে নিয়োগ দিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আল খামেনি বলেন, ১৯৮০-৮৮ পর্যন্ত ইরাক-ইরান যুদ্ধের অন্যতম আইআরজিসি কমান্ডার ছিলেন কুদস বাহিনীর নতুন প্রধান। ১৯৫০ সালে ইরানের মাশহাদ শহরে জন্ম কায়ানির। ১৯৮০ সালে আইআরজিসিতে যোগ দেন তিনি। ইরাক-ইরান যুদ্ধের পর আইআরজিসি’র স্থল বাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। তবে কুদস বাহিনীতে তিনি কবে যোগ দিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ১৯৯৭ সালে কাসেম সোলাইমানিকে বাহিনীটির প্রধান হিসেবে নিয়োগের বছরেই তাকে এই বাহিনীর উপপ্রধান নিয়োগ করা হয়।

 

Share.