শনিবার, নভেম্বর ২৩

পর পর ৪ জন সংসদ সদস্যের মৃত্যু কষ্টকর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0

ঢাকা অফিস: পর পর চার জন সংসদ সদস্যের মৃত্যু সংসদের জন্য একটা কষ্টকর বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা কষ্টকর। এবারের নির্বাচনের পর অনেক সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। জানি না এবার আমাদের সংসদের কী রকম একটা দুর্ভাগ্য যে পর পর আমাদের চার জন সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করলেন! ডা. ইউনুস চলে গেলেন, ড. মোজাম্মেল সাহেব মারা গেলেন, মান্নান এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার তিনদিন পর শুনলাম সে আর নেই। আবার আজকে সকালে ইসমাত আরা সাদেক এভাবে মারা গেলেন।’ ইসমাত আরা সাদেকসহ মারা যাওয়া সব সংসদ সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওনাকে মন্ত্রিসভার দায়িত্ব দিতে চাইলে ওনার তা পালনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। তবে আমি তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিই। অত্যন্ত গোছালোভাবে তিনি কাজ করতেন। প্রতিটি কাজ তিনি সুষ্ঠুভাবে সততা নিষ্ঠার সঙ্গে করতেন। ওনার একাগ্রতা, সততা ছিল অসামান্য।’ সম্প্রতি ইসমাত আরার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে আমার সঙ্গে দেখা করেন। তখন অসুস্থতার কথা বললেন। অনেকক্ষণ আলাপ-আলোচনা হলো। একটা অপারেশন করার কথা জানালেন। এ বয়সে অপারেশন করবেন কিনা তা চিন্তা করতেও বললাম। অসুস্থতার খোঁজ-খবর নিলাম। বললাম, ঘাবড়াবেন না। চিকিৎসা আধুনিক হয়ে গেছে। এটাও বললাম, আমাদের সবার তো বয়স হয়ে গেছে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। জবাবে বললেন, আমি তো আপনার থেকে বড়। আমি বললাম, মৃত্যু তো বয়স দেখে আসে না। যেকোনও সময়েই আসতে পারে। উনি চলে গেলেন, হাসপাতালে ভর্তি হলেন। পরে শুনলাম উনি স্ট্রোক করেছেন। অবস্থা ভালো না। অপারেশন পর্যন্ত উনাকে নেওয়াই গেলো না!’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মৃত্যু এভাবেই আসে। তবে ওনাকে ভুগতে হলো না। কষ্ট করতে হলো না। এটাই হচ্ছে বড় কথা।’ এলাকার উন্নয়নে ইসমাত আরা সাদেক অনেক কাজ করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনি এলাকা কেশবপুর আলোকিত করেছেন। অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। হঠাৎ এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন ভাবতে পারিনি!’ সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর আনা শোক প্রস্তাবের ওপর বেশ কয়েকজন আলোচনা করেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। শোক প্রস্তাবের ওপর তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, কাজী নাবিল আহমেদ, ওয়াসিকা আয়শা খানম, আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশা ও জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান আলোচনা করেন।

Share.