ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতার মধ্যেই দেশটির কিছু এলাকায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার ভোররাতের দিকে বিমান হামলার সাইরেন এবং বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। এর পর দেশটির বিমান বিধ্বংসী ইউনিটগুলো বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সক্রিয় করা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টার জন্য ইউক্রেনের সমস্ত অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কতা প্রসারিত করা হয়। কিন্তু অবকাঠামো বা বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কিয়েভ, মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে হামলার সতর্কতা প্রত্যাহার হওয়ায় হতাহতের কোনো ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। তবে পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় এবং পশ্চিম ইউক্রেনজুড়ে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত বিমান হামলার সতর্কতা বলবৎ ছিল। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী টেলিগ্রামে বলেছে, রাশিয়ান বিমান আকাশে রয়েছে এবং হাইপারসনিক কিনজল ক্ষেপণাস্ত্র থেকে হামলার হুমকি রয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলো ড্রোন হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। মধ্য ইউক্রেনের ক্রিভি রিহ, পশ্চিমে রিভনে এবং লুতস্কসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতে বিমান বিধ্বংসী ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কিয়েভের কর্মকর্তারা। তারা জানান, অন্যান্য শহর একই ধরনের বিমান বিধ্বংসী ইউনিটও সক্রিয় থাকার বিষয়ে রিপোর্ট করেছে। মস্কো-নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক অঞ্চলের রুশ-নিয়ন্ত্রিত কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে রাশিয়ার তাস নিউজ এজেন্সি বলেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী মধ্যরাতের পর রুশ-নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক শহরে আটটি গ্রেড ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। অবশ্য ওই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে এসব তথ্য বা সামরিক কার্যকলাপের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। এর আগে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। কিয়েভ ছাড়াও কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর নগরী ওডেসায়ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রুশ বাহিনী। এতে অন্তত একজন নিহত হন। তবে কিয়েভে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। যদিও ধ্বংসপ্রাপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ একটি বহুতল ভবনে আছড়ে পড়লে সেখানে আগুন লেগে যায়। চলতি মাসেই এ পর্যন্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ৯ বারের মতো অতর্কিত সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বাহিনীর যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে তখনই একের পর এক অতর্কিত হামলা চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতার মধ্যেই বিস্ফোরণ
0
Share.