আ.লীগ গণমাধ্যমের যতটা স্বাধীনতা দিয়েছে তা কেউ দেয়নি :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0

ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সমালোচনা থাকবে, তবে তা গঠনমূলক হাওয়া উচিত। সমালোচনা হতে হবে দেশের কল্যাণে। গণমাধ্যমের যতটা স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে তা কখনও কেউ দেয়নি। সোমবার (১০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অসুস্থ, অসচ্ছল সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেখলাম যে, সংবাদপত্র ছিল হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা। তখন কিন্তু অবাধে যাতে আরও সংবাদপত্র প্রকাশিত হতে পারে সেই ব্যবস্থা যেমন করেছি। তেমনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন আমরা দিতে শুরু করি। প্রথমে তিনটার অনুমোদন দিলাম, এরপর আস্তে আস্তে আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে সময় অনেকে বাধা দিয়েছিলেন যে, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া ঠিক হবে কিনা। সত্যিকথা বলতে, আমরা একটাই লক্ষ্য ছিল যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। আমি তখনই এটিই বলেছিলাম যে, আমরা যত বেশি টেলিভিশন দিতে পারব ততো বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সাংবাদিক থেকে শুরু করে শিল্পী, সাহিত্যিক, টেকনিশিয়ান সবার কর্মস্থান হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে দেশে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের যাত্রা শুরু হয়েছে। সাংবাদিকরা যাতে কিস্তিতে ফ্ল্যাট কিনতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তার আত্মজীবনী পড়লে আপনারা সেটি জানতে পারবেন। শুধু সাংবাদিকতা নয়, পত্রিকা বিক্রির কাজও তিনি করেছেন। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমি আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য। জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল এদেশের জনগণের যেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকে। ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকারে গঠন করি তখন মাত্র একটি টেলিভিশন ছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারের সমালোচনাটা গঠনমূলক হওয়া উচিত। শুধু বলার জন্য বলা না। বিরোধীদল তো বলবেই, তারা সারাদিন কথা বলে, টক শো করে, টক শোতে ইচ্ছেমতো বলে যাচ্ছে, যা খুশি তাই বলে যাচ্ছে, কথা বলার পরে বলবে কথা বলার স্বাধীনতা দেয়নি। স্বাধীনতা ছিল কখন? আইয়ুব খানের আমলে ছিল? জিয়াউর রহমানের আমলে ছিল? এরশাদের আমলে ছিল?’ সরকারপ্রধান বলেন, ‘যতই সমালোচনা করেন, সমালোচনা থেকে যদি কোনো সংশোধন করা লাগে আমরা সেটা করে নেব। এবং আমরা সেটা করে থাকি। সেখানে আপনাদেরও কিছুটা দায়িত্ব আছে। স্বাধীনতা ভোগ করবেন, সঙ্গে দায়িত্ববোধও থাকতে হবে। দেশ ও জাতির জন্য কর্তব্যবোধ থাকতে হবে।’

Share.