ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতে ভয়াবহ বন্যার আঁচ লেগেছে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর নিদর্শন তাজমহলেও। ৪৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তাজমহলের দেয়ালে ঠেকেছে যমুনার পানি। ভারী বর্ষণ ও পাশ্ববর্তী এলাকায় বন্যার কারণে যমুনার পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে দাবি স্থানীয় কর্মকর্তাদের। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, নদীর পানির স্তর ৪৯৭ দশমিক ৯ ফুটে পৌঁছেছে, যা বন্যার নিম্নস্তর ৪৯৫ ফুটকে ছাড়িয়ে গেছে। তাজমহলের কাছেই আগ্রার দশেরা ঘাটসংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতিমাদ-উদ-দৌলার সমাধির বাইরের অংশেও পানি প্রবেশ করেছে। রামবাগ, মেহতাববাগ, জোহরাবাগ, কালা গুম্বাদ এবং চিনি কা রৌজার মতো স্মৃতিস্তম্ভগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত কোনও ঝুঁকির মধ্যে নেই ১৭ শতকে নির্মিত এই তাজমহল। নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার ঝুঁকিদে রয়েছে রামবাগ, মেহতাব বাগ, জোহরা বাগ ও কালা গুমবাদের সমাধিও। তবে এএসআই তা মানতে নারাজ। তারা বলছেন, পানি এখনও তাজমহলের স্থাপনায় প্রবেশ করেনি। অন্যদিকে আগ্রার কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সামল দেওয়ার চেষ্টা করছেন, ইতোমধ্যে ত্রাণ কার্যক্রমের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তারা বলছেন, তাজমহলে যাওয়ার রাস্তা ইতোমধ্যে ডুবে যেতে শুরু করেছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নভনিত চাহাল আগ্রা শহরের নিচু এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি এলে তা সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে। হর্ষবর্ধন শ্রীবাস্তব নামে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যদি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে তা সামাল দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। অনেকগুলো চেকপোস্ট তৈরি করা হয়েছে যেখানে নৌকা ও ডুবুরিরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। নিচু এলাকায় যারা বাস করছেন তাদেরক সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’ এর আগে ১৯৭৮ সালে যমুনার জলস্তর ৫০৮ ফুটে উঠেছিল। এটি আগ্রায় উচ্চ স্তরের বন্যা ছিল। পানির স্তরটি তাজমহলের বাসাই ঘাট বুর্জের উত্তর দেয়ালে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সময় স্মৃতিসৌধের বেসমেন্টের ২২টি কক্ষে পানি প্রবেশ করেছিল
তাজমহলের দেয়ালে যমুনার পানি
0
Share.