স্পোর্টস ডেস্ক: পরাজয়েই যুবাদের শুরু হয়েছিল ইমার্জিং এশিয়া কাপ। কিন্তু পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। নকআউট পর্বে পা রাখতে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। ম্যাচটিতে আফগানদের ২১ রানে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় সাইফ হাসানের দল। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। জবাবে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানে থামে আফগানিস্তান। ফলে ২১ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) কলম্বোর পিসারা ওভালে ৩০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬ রানের প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯০ রানের জুটি গড়েন রিয়াজ হাসান ও নূর আহমেদ জাদরান। ৪৪ রান করা জাদরানকে আউট করে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। এরপর ৭৮ রান করা রিয়াজকে ফেরান সৌম্য সরকার। তবে হাল ছেড়ে দেননি আফগান ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন তারা। শেষের দিকে দারুণ বোলিং করে আফগান ব্যাটারদের বাউন্ডারি মারতে দেননি টাইগার বোলাররা। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন তানজিম হাসান সাকিব। এছড়া দুটি করে উইকেট নেন সৌম্য সরকার ও রাকিবুল হাসান। একটি উইকেট নিয়েছেন পেসার রিপন মন্ডল। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সাইফ হাসান। তবে শুরুটা ভালো হয়নি টিম বাংলাদেশের। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। জাকিরের বিদায়ের পর জয়ের সঙ্গে হাল ধরেন অভিজ্ঞ সৌম্য সরকার। শেষ দিকে ঝোড়ো ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ তিনশ পার করেন শেখ মেহেদী। ব্যক্তিগত মাত্র ৯ রানে ওপেনার তানজীদ হাসান তামিমের বিদায়ের পর দ্রুত বিদায় নেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখও। ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায় এই বাঁহাতি ওপেনার প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপরই দলের অধিনায়ক সাইফ হাসানও এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ৪ রানে। ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে জয়-জাকিরের সময়োপযুগী জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ১৯ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদী। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ সালিম।
আফগানদের হারিয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
0
Share.