ডেস্ক রিপোর্ট: “কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই, আজ আর নেই।” এ ছাড়াও রয়েছে “খা খা দুপুর জুড়ে দুরত্ব, স্নিগ্ধ বাতাস বিকেল বেলার বন্ধুত্ব, রোদ বৃষ্টির পথ; সাথে থাকার শপথ, মনের খাচা নিয়েছে ব্রত, বন্ধুত্ব হবে অমর; পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত।” কবিতার এ লাইনগুলো যেন বাস্তবেই রুপ নিলো। প্রায় ৩০ বছর ধরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা নেই মো. আবদুল মজিদের (৮০)। তাই মনের টানে শেষ বয়সে এসে বন্ধুদের হন্য হয়ে খুঁজছেন তিনি। দিয়েছেন একাধিক জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপনও। অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হলেও দীর্ঘদিনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা বন্ধুদের সঙ্গে একবার দেখা করাই যেন এখন তার জীবনের শেষ ইচ্ছা। এ বয়সে এসেও এমন বন্ধু প্রেম দেখে অবাক তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা। আবদুল মজিদ বরিশাল নগরীর বাংলা বাজার এলাকার বাসিন্দা। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী। চাকরির সুবাদে আশির দশকে লিবিয়া যান। সেখানে ১০ বছরের মতো কাটান। কর্মরত অবস্থায় সেখানে তার বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বন্ধু হন। নব্বইয়ের দশকে মজিদ অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমালে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিন দশক পরে সেসব বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশে আসেন তিনি। কিন্তু বন্ধুদের খুঁজে না পেয়ে দিয়েছেন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন। এখনো তাদের সন্ধান পাননি তিনি। এ বিষয়ে মো. আবদুল মজিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চাকরি জীবনের শুরুতে প্রথমে খুলনা, পরে বরিশাল, তারপর আবার খুলনাতে কাজ করি। সেখান থেকে লিবিয়াতে ১০ বছর কাজ করি। সে সময় পাবনার হান্নান, আলাউদ্দিন, টাঙ্গাইলের রেহেনা, সুচরিতা, রাজশাহীর আব্বাস, নোয়াখালীর মনির, কুমিল্লার নুরুল ইসলামের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।’ তিনি বলেন, ‘বন্ধুদের কথা আমার প্রায়ই মনে হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারলে হয়ত আমার এ জীবনটা আরও ভালো কাটতো।’
পত্রিকায় বন্ধুদের খোঁজে বিজ্ঞাপন
0
Share.