ঢাকা অফিস: লেবাননে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। সুমন মিয়া (৩৫) নামে ওই যুবকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়। তিনি উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের টিঘরিয়া গ্রামের সুলতান ভূঁইয়ার ছেলে। গত শনিবার লেবাননে তার কর্মস্থলে বেপরোয়া গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। নিহত সুমন মিয়া দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। সুমনের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে লেবাননে যান সুমন মিয়া। সেখানে জুনির বদালিয়ায় রাস্তায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন সুমন মিয়া। গত শনিবার সকালে লেবাননের বিভাগীয় শহর জুনিতে রাস্তার পাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ একটি বেপরোয়া গতির গাড়ি তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। লেবানন পুলিশ ও রেডক্রস সোসাইটির লোকজন নিহত সুমনের লাশ উদ্ধার করেন। বর্তমানে সুমনের মৃতদেহ লেবানন সাইদ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার রাতে সুমনের সহপাঠীরা বিষয়টি টেলিফোনে নিহত সুমনের বাড়িতে জানায়। ছেলের মৃত্যুর খবরের পর থেকে মা হারুনা বেগম বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। রোববার সুমনের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। সুমনের প্রথম স্ত্রী কোহিনুর আক্তার বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তার স্বামীর সহপাঠীরা তাকে ফোন করে মৃত্যুর খবরটি জানায়। তার এক ছেলেও এক মেয়ে রয়েছে। কোহিনুর তার স্বামীর লাশটি দেখতে চান। সোনিয়া আক্তার এ সময় বলেন, গত শুক্রবার তার স্বামী তাকে ফোন করেছিলেন। এ সময় তিনি বলেছিলেন, মাস শেষে বেতন পেয়ে ছুটিতে বাড়িতে আসবেন। ছেলে-মেয়েদের দেখাশুনা করো। আমি ভালো আছি। সোনিয়ার একমাত্র ছেলে রিজুয়ানের বয়স ৫ বছর। এই অবুঝ শিশুটি এখনো জানে না কেন তার মাসহ বাড়ির লোকজন কান্না করছেন।
বেতন পেয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল নিহত যুবকের
0
Share.