ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পনগরী ফয়সালাবাদে অন্তত ৫টি গির্জায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কোরআন অবমাননার অভিযোগে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। ফয়সালাবাদের জারানওয়ালা এলাকায় বুধবারের এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে শতাধিক লোককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাবের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র। শত শত ক্ষুব্ধ মানুষের একটি মিছিল পাঁচটি গির্জা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাসভবন এবং স্থানীয় সহকারী কমিশনারের অফিসে হামলা চালায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন সাত দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এছাড়া সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়া সব ধরনের সমাবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদিকে পাঞ্জাব সরকার তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর জারি করা আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঘটনার তদন্তের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ জানায়, কোরআন অসম্মানের অভিযোগে স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। একটি সরকারি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) নামক একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের লোকদের নিয়ে এই জনতার মিছিল করা হয়। তবে টিএলপি তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, গির্জার ভবন থেকে ধোঁয়া উড়ছে এবং সেখান থেকে বের করে আনা আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসময় বেশ কিছু লোক পার্শ্ববর্তী মহাসড়ক অবরোধ করেন।
কোরআন অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে গির্জায় হামলা, গ্রেপ্তার শতাধিক
0
Share.