ঢাকা অফিস: সম্পদের তথ্য বিবরণী দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শামীম আহাম্মাদ আজ মঙ্গলবার আসামি রফিকুল আমীনের উপস্থিতিতে চার বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। ওই টাকা ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কারাদণ্ড থেকে হাজতবাসকালীন সময় বাদ যাবে। ফলে ২০১২ সাল থেকে কারাগারে থাকা রফিকুল আমীনকে এ মামলায় আর সাজা খাটতে হবে না। তবে মুদ্রা পাচারের আরও দুটি মামলায় গ্রেফতার থাকায় আপাতত তার মুক্তিও মিলছে না। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় আলাদা দুটি মামলা করে দুদক। তারা ওই বছর ১১ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দুই মামলার তদন্ত চলার মধ্যেই প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে রফিকুল আমিনের ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ ১৮ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০১৬ সালের ১৬ জুন নোটিস দেয় দুদক। সাত দিনের মধ্যে তাকে তথ্য বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। কারাবন্দি রফিকুল আমীন সময়ের আবেদন করলে তাকে আরও সাত দিন সময় দেওয়া হয়। এরপরও সম্পদের তথ্য বিবরণী না দেওয়ায় ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় এই মামলা করে দুদক। এরপর ২০১৭ সালের ৬ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা পড়ে। পরের বছরের ১২ মার্চ অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় রফিকুল আমিনের বিচার শুরু করে আদালত। এ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন নিয়ে হাই কোর্টেও গিয়েছিলেন রফিকুল আমীনের আইনজীবীরা। ২০১৮ সালে ১৮ আগস্ট হাই কোর্ট সে আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়।
ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড
0
Share.