ডেস্ক রিপোর্ট: এখনও মুখের বুলি ফোটেনি, জানেনা যুদ্ধ সংঘাতের মানে তবুও রকেট গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ যাচ্ছে নিষ্পাপ সেই শিশুদের। গাজায় প্রতি মুহূর্তে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে বহু শিশু, যন্ত্রণায় ছটফট করছে হাসপাতালের বিছানায়। মিসাইলের আঘাতে শরীরের অঙ্গ হারিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। শরীর থেকে অঝরে রক্ত ঝরলেও, দেখার নেই কেউ। কাকে রেখে কাকে বাঁচাবেন, কাকেই বা চিকিৎসা দেবেন সে সিদ্ধান্ত নিতেই হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসা কর্মীরা। ইসরায়েলে হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৭২৪ শিশুর । মিসাইলের আঘাতে ধসে পড়া ভবনের নিচে ঠিক কত শিশুর মরদেহ আছে তা এখনোও অজানা। গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে, কয়েকলাখ কোমলমতি প্রাণ। তথ্য বলছে, ইসরায়েলের নিপীড়নের শিকার গাজার অর্ধেক বাসিন্দার বয়সই ১৮ বছরের নিচে। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ২১৫ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় গত শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত ৭২৪ শিশুসহ ২ হাজার ২১৫ জন নিহত হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৪৫৮ জন নারী। এসময়ে আহত হয়েছেন ৮ হাজার ৭১৪ জন। এর আগে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েরের হামলায় গাজায় অন্তত ৩২৪ জন নিহত হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, একই সময়ে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামলায় ৫৪ জন নিহত ও ১ হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এদিকে পালিয়েও মিলছে না রেহাই, আল্টিমেটাম জারির পর গাজার ভিটে মাটি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছিল বাসিন্দাদের একটি দল। কিন্তু তাদের গাড়িতেই ছোড়া হয় মিসাইল। মুহূর্তেই প্রাণ যায় নারী শিশুসহ অন্তত ৭০ জনের।
ইসরায়েলে হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৭২৪ শিশুর
0
Share.