কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ এবারও শীর্ষে

0

বাংলাদেশ থেকে পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ৬ টি কলেজের মধ্যে এবারের এইচ,এস,সি পরীক্ষার ফলাফলে মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ পাশের হারে শীর্ষে রয়েছেন। এ কলেজ থেকে তিনটি বিভাগে মোট ১৭৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ১৭১ জন উর্ত্তীন হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন শিক্ষার্থী । পাশের হার শতকরা ৯৭.১৬। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ । এ কলেজ থেকে মোট ২৪০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষ্য়া অংশ গ্রহন করে উর্ত্তীন হয়েছেন ২০৪ জন। পাশের হার শতকরা ৮৫ জন। জি,পি,এ -৫ পেয়েছে ১৬ জন শিক্ষর্থী। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ । এ কলেজ থেকে মোট ৩৫৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ২৮৯ জন উর্ত্তীন হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের পাশের হার ৮১.৭১ । জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন শিক্ষার্থী। চতুর্থ স্থানে রয়েছে, আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে ২৩৬ জন উর্ত্তীন হয়েছে। এ কলেজের পাশের হার ৮০.৮২ । এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ধানখালী ডিগ্রি কলেজ। এ কলেজ থেকে ১৮৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৪৮ জন উর্ত্তীন হয়েছে । এ কলেজের পাশের হার শতকরা ৭৯ জন। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া সরকারী মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ থেকে মোট ২৯৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে উর্ত্তীণ হয়েছে ২২৭ জন। এ কলেজের পাশের হার শতকরা ৭৫ । এ প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ্য, এ বছরের ফলাফলে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজেটি এর আগেও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে একাধিকবার টপটেনে অবস্থান করার গৌরব অর্জন করেছে। তারমধ্যে ২০০৬ সালে দ্বিতীয়, ২০০৯ সালে নবম, ২০১০ সালে পঞ্চম এবং ২০১১ সালে নবম স্থান অধিকার করেছিল বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে। কলেজটির ভাল ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কালিমউল্লাহ জানান, শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদান, সাপ্তাহিক পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের ক্লাশে উপস্থিতির বিষয়ে বিশেষ ভাবে নজর দেয়ায় এমন ফলাফল সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে,জিপিএ-৫ এ এগিয়ে কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মো.ফারুক বলেন, নিয়মিত পাঠদান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সু-সম্পর্ক তার কলেজের ভাল ফলাফলের কারন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Share.