বিনোদন ডেস্কঃ বাংলাদেশের মডেলিং ও কোরিওগ্রাফিতে কাজ করেছেন সুদীর্ঘ ২দশক। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে কোরিওগ্রাফিতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তুলে ধরেছেন বাংলাদেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি। তার এই সুদীর্ঘ কাজের স্বীকৃতি হিসাবে এবার পুরস্কৃত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। গেল, ৩ডিসেম্বর নিউ ইয়র্কের কুইন্সের ‘কুইন্স প্যালেসে’ ১৩তম এনআরবি এ্যাওয়ার্ড ২০২৩, এর আয়োজন করা হয়। যার আয়োজনে ছিলো শো টাইম মিউজিক। প্রবাসে চরম ব্যস্ততার মাঝেও শিল্প সাহিত্যে, সংস্কৃতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তাদের অবদানকে সম্মান দেখানোর জন্য আয়োজন করা হয় এই এ্যাওয়ার্ডের। যুক্তরাষ্ট্রে, বসবাসরত ৫০ জনের মতো শিল্পী, সাংবাদিক, মিউজিশিয়াান, ব্যবসায়ি, এ্যাক্টিভিস্ট, ডাক্তার আইনজীবি সহ বিভিন্ন পেশায় অবদান রাখা ব্যক্তিদের সম্মাননা ও সংবর্ধনা দেয়া হয়। শাহাদাৎ হোসেন সুমন একজন সফল মডেল ও কোরিওগ্রাফার। এখাতে, গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাকেও পুরস্কৃত করা হয়। তার এই সাফল্যের কারন জানতে চাইলে তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং সততার সাথে কাজ করার পুরস্কার এটি বলে জানান তিনি। তাকে সম্মাননা জানানোর জন্য শো টাইমের আলমগীর খান আলমকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এই স্বপ্নবাজ মডেল ও কোরিওগ্রাফার শাহাদাৎ হোসেন সুমনের জন্ম নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে। উচ্চমাধ্যমিকে পড়া শেষে নিজের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ঢাকায় চলে আসেন। ছাত্র থাকা অবস্থাতেই তিনি মডেলিংয়ের সাথে সংযুক্ত হন। ২০০৬ সালে আলোচিত বিনোদন অনুষ্ঠান সপ্তডিঙ্গা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত হন তিনি এই পেশায়। মডেলিংয়েই নিজেকে সীমিত না রেখে নিজের মেধা এবং যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে এবং দেশীয় সংস্কৃতিকে সৃজনশীলতার মাধ্যমে তুলে ধরতেই কোমড় বেঁধে নামেন কোরিওগ্রাফিতে। দেশের মডেলিংকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরতে এই বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। দেশের তরুণদেরকে কোরিওগ্রাফিতে এসব বিষয়ে অভ্যস্ত এবং আগ্রহী করতে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন তিনি। কোরিওগ্রাফির ক্ষেত্রে লাইটের ব্যবহার, স্টেইজ ডিজাইন, মিউজিক ট্র্যাকসহ অকেশনাল থিম সম্পর্কে বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একারণে, দেশে একটি কোরিওগ্রাফি ইনিস্টিটিউট করার ইচ্ছার কথা জানান তিনি। এজন্য, নিউ ইয়র্কের ‘স্কাইলার মডেলিং স্কুলে ভর্তি হন নিজেকে আরো শানিত করার জন্য। তার মডেলিং ও কোরিওগ্রাফিতে পরিবার, বন্ধুমহল এবং আত্মীয়-স্বজনরা উৎসাহ যুগিয়েছেন দিয়েছেন অনুপ্রেরণাও। দেশীয় এবং বিদেশী সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এবং নিজের সৃজনশীলতাকে ব্যবহার করে আরো ভালো কিছু করার তাড়না বোধ করেন এই মডেল। তিনি কাজ করেছেন, পহেলা বৈশাখ, ভ্যালেন্টাইন ডে, ক্রিসমাস ডে, থার্টিফাস্ট নাইট বিভিন্ন দেশী এবং বিদেশী গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলোকে গুরুত্বের সাথে নিজের মত করে রাঙিয়েছেন। এসব অনুষ্ঠান করেছেন তিনি, সোনারগাঁ, রেডিসান, শেরাটন, রিজেন্সি, ঢাকা ক্লাবসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের চার তারা ও পাঁচতারা হোটেলে।
এছাড়া, দেশি-বিদেশী বিভিন্ন ফ্যাশন শোগুলো তে তার পদচারণা ছিলো চোখে পড়ার মত। এছাড়া, তিনি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেছেন। শো টাইম মিউজিকের এবারের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চিত্রনায়িকা মৌসুমি, এবং শো টাইমের কর্ণধার আলমগির খান আলম, এ্যার্টনি মইন চৌধুরীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এরপর প্রবাসে বসবাসরত প্রবাসিদের এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখা ব্যক্তিদের সম্মানিত করা হয়। এ সময় নায়িকা মৌসুমিকেও স্বারক প্রদান করে সম্মানিত করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিলো পিয়া বিপাশা এবং তার দলের নাচ এবং নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশী উদিয়মান তরুণ কন্ঠশিল্পীদের চমৎকার উপস্থাপনা।