রবিবার, নভেম্বর ২৪

ইসরায়েল গাজাকে ‘রক্তের সাগরে’ পরিণত করেছে : উ. কোরিয়া

0

ডেস্ক রিপোর্ট: গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সংযুক্ত আরব আমিরাতের তোলা এক প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে ভেস্তে যাওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা ও মানবাধিকার সংস্থা গাজায় হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া সংঘাতের অবসানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে বলেও অভিযোগে করেছেন। জাতিসংঘে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেছে উত্তর কোরিয়া। এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থার উপপরিচালক কিম সুন-কিয়ং ওয়াশিংটনের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যত শিগগিরই সম্ভব শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিচল আকাঙ্ক্ষাকে স্থায়ী পরিষদের এক অহংকারী সদস্যের স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারে আবারও নিষ্ঠুরভাবে পদদলিত করা হয়েছে। আমি সহায়তা করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করছি। দেশটির এমন পদক্ষেপে দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই। কিম সুন-কিয়ং বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বাধা হয়ে ওঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘের পবিত্র মঞ্চে থাকার অধিকারও নেই। এই মঞ্চ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকমত্যের প্রতিনিধিত্ব করে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ছেড়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার এই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের ‘‘নির্বিচার সামরিক হামলা’’ গাজা উপত্যকাকে ‘‘রক্তের সাগর ও ছাইয়ের স্তূপে’’ পরিণত করেছে। এর আগে, শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেই প্রস্তাবে উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি দু’টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছিল আমিরাত— (১) আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সব বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং (২) শিগগির এবং শর্তহীনভাবে সব জিম্মিকে মুক্ত করতে হবে। শুক্রবার পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবটি পেশ করার পর সেটি গৃহীত হয় এবং সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ভোটের জন্য উত্থাপন করা হয়। ভোটে পরিষদের স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৩টিই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। বাদ ছিল কেবল দুই স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য ভোটদান থেকে বিরত থাকে এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে সরাসরি আপত্তি বা ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে।

Share.