ঢাকা অফিস: খুলনা রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে। তবে সাবেক ওসি উছমান গনি পাঠানের বিরুদ্ধে মারপিটের সত্যতা মিলেছে। সোমবার খুলনা পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই, খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, হাসপাতালে ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত মেলেনি। এছাড়া তাকে ডিএনএ পরীক্ষা করাতে গেলেও তিনি রাজি হননি। সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদেও ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এদিকে এর আগেও ওই নারী মোবাইল চুরির অভিযোগে খুলনার দৌলতপুর ও যশোর কোতয়ালী থানায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। এছাড়া তাকে বিদেশে পাচার করা হয়েছে জানিয়ে তার মা ঢাকার পল্লবী থানায় অপহরণ মামলা করে। পরে এক লাখ টাকা নিয়ে আসামির সাথে সমঝোতা করে মামলা প্রত্যাহার করা হয়। জানা যায়, গত বছরের ২ আগস্ট রাতে রেলওয়ে পুলিশ ফুলতলা থেকে ওই নারীকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করে। পরে গভীর রাতে ওসি উসমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ ও মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই জানায়, তদন্তকালে রেলওয়ে থানার সাবেক ওসি ইনচার্জ উছমান গনি পাঠানসহ পাঁচজন পুলিশ কর্তৃক মামলার বাদী সালমা বেগমকে ধর্ষণ ও যৌনপীড়নের সত্যতা না পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩)/১০/৩০ মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। একই সাথে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইনে ওসি উছমান গনির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ।
পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদন: ‘ওসি ও ৫ পুলিশ তাকে ধর্ষণ করেনি’
0
Share.